
পৃথক ৯ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তি বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শুনানি হবে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, রিটে হাইকোর্ট এভাবে আদেশ দিতে পারেন কি না-এমন প্রশ্নে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ১৫ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ১০ নম্বরের পরে বিষয়টি থাকবে। জামিন আবেদন দাখিল করলে (মির্জা ফখরুল) তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করবে। রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হলো।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রিটে দেখা যায়, ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলায় তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
রিটের ওপর ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে শুনানি হয়। সেদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা জানান, দশটির মধ্যে ইতিমধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর নয়টি মামলার ক্ষেত্রে জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান তারা। শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্ট রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন ও তুষার কান্তি রায়। অন্যদিকে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।