Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গত ৯ এপ্রিল জামিন পান প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান

আদালতে হাজিরা দিলেন শামসুজ্জামান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বৃহস্পতিবার তিনি হাজিরা দেন।

শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার প্রথম আলোকে জানান, তেজগাঁও থানার মামলায় আগামী ১২ জুন এবং রমনা থানার মামলায় ১৩ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে সাভারে কর্মরত শামসুজ্জামানকে গত ২৯ মার্চ ভোরে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা রমনা থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর শামসুজ্জামান ৩ এপ্রিল সিএমএম আদালত থেকে জামিন পান। এ ছাড়া ৯ এপ্রিল তেজগাঁও থানার মামলায় শামসুজ্জামান জামিন পান।

রমনা থানার মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়। প্রথম আলো সম্পাদক ওই মামলায় ২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পান। এরপর ৩ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি জামিননামা দাখিল করেন। আদালত আগামী ১৬ আগস্ট জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ওই দিন বলেছিলেন, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সম্পাদক জামিনে থাকবেন।

শামসুজ্জামানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলাটি মধ্যরাতে করা হয়েছে। তেজগাঁও থানার মামলার বাদী রাজধানীর ফার্মগেটের আল-রাজী হাসপাতালের সামনে নিজের মুঠোফোনে কথিত ঘটনাটি (এজাহারের অভিযোগ) সম্পর্কে জানেন। এই এজাহারে মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ নেই। এমনকি এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত তথ্যাদি একই সময়, অর্থাৎ মধ্যরাতে কোন উৎস থেকে তিনি সংগ্রহ করলেন, তার বর্ণনাও নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শামসুজ্জামান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে কথিত মতে কোনো অপরাধ করেননি।