
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার ও এতে নাগরিকদের অংশগ্রহণে সমতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ চালু করেছে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব অধিবেশনে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), অবজারভার রিসার্স ফাউন্ডেশন এবং পিপল-সেন্টার্ড ইন্টারনেটের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই সেন্টার চালু করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুন্নত দেশগুলোতে সহজলভ্য ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা, ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং নাগরিক সেবার ডিজাইন উন্নতি করাসহ বিভিন্ন সেবা নিশ্চিতে বৈশ্বিক হাব হিসেবে ভূমিকা রাখবে ই-কোয়ালিটি সেন্টার। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই সেন্টারের উদ্দেশ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি আশা করেন, ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে এই সেন্টারের উদ্ভাবনের কার্যক্রম উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি-৭৭-তে বাড়ানো, ৫০টি স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে কার্যক্রম বাড়ানো, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সাউথ-সাউথ ট্রান্সফারকে সহযোগিতা করা। একই সঙ্গে ডিজিটাল বৈষম্য পরিমাপের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ ই-কোয়ালিটি ইনডেক্স তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেলের প্রযুক্তিবিষয়ক দূত আমনদীপ সিং গিল, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিতসহ প্রমুখ। এ ছাড়া অনলাইনে যুক্ত হন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।