Thank you for trying Sticky AMP!!

‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিক, ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা

জিম্মি জাহাজ আবারও সরিয়ে নিয়েছে দস্যুরা

সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়ার এক দিনের মাথায় ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে কাছাকাছি আরেক এলাকায় সরিয়ে নিয়েছে দস্যুরা। আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে মালিকপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা একটার দিকে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। আজ জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।  

Also Read: জলদস্যুদের জিম্মি করা এমভি আবদুল্লাহর পিছু নিয়েছিল ইইউর জাহাজ

Also Read: ‘ফাইনাল কথা, টাকা না দিলে আমাদের একে একে মেরে ফেলতে বলেছে’

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি, জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। তবে নাবিকেরা সুস্থ আছে।’

মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় গতকাল জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।

Also Read: যেভাবে জলদস্যুতায় নেমেছে সোমালিয়ার জেলেরা

Also Read: ২০১০ সালেও বাংলাদেশি জাহাজ অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা, মুক্তি যেভাবে

এদিকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে দস্যুরা এখনো কোনো দাবি জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা মুক্তিপণের দাবি জানাতে কিছুটা সময় নিচ্ছে।  

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দস্যুরা এখনো যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে।’

Also Read: ‘জিম্মি থাকা নাবিকদের একটু স্মার্টলি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে’

Also Read: জিম্মি জাহাজ-নাবিক উদ্ধারে তৎপরতা শুরু