দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লোগো

জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকে অধ্যাপক বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

আজ রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আবুল বারকাতকে দুদকের সেগুনবাগিচা প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে সেখানে হাজির করে। পরে তাঁর প্রথম দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

আবুল বারকাতের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে ২৩ জুলাই আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকার বেশি ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে ‘অ্যাননটেক্স’ গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এতে অধ্যাপক আবুল বারকাত ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এরপর ১০ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসি ভবনের করপোরেট শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করেন। এসব অর্থ পরে বিদেশে পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জনতা ব্যাংক ‘অ্যাননটেক্স গ্রুপ’–এর ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ দেয়। তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক আবুল বারকাত।

২০১২ সালে এই ঋণ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। তবে ২০২২ সালে ‘প্রমাণের অভাবে’ তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও তদন্তে নামে সংস্থাটি।