Thank you for trying Sticky AMP!!

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা

জাহান মণির মতো এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

সোমালিয়ার উপকূলে ১৮ দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে জলদস্যুরা। তাই খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না জাহাজের নাবিকেরা। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন।

জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

Also Read: ‘দস্যুরা সপ্তাহে দুটি দুম্বা আনত, একটি আমাদের দিত, আরেকটি তারা খেত’

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জিম্মি অবস্থায় জাহাজটির খাবার ফুরিয়ে গেলে জলদস্যুরা সপ্তাহে দুটি দুম্বা নিয়ে আসত। সে সময় এমভি জাহান মণিতে থাকা দুজন নাবিক প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

Also Read: যেভাবে জলদস্যুতায় নেমেছে সোমালিয়ার জেলেরা

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত জাহাজে হিমায়িত ও শুকনো—দুই ধরনের খাবার থাকে। যাত্রাপথে কত দিন সময় লাগবে, তার ওপর নির্ভর করে জাহাজে খাবার রাখা হয়। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত থাকে। জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

Also Read: খাবার ফুরিয়ে এসেছে, দ্রুত দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার আশা

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। জিম্মি জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে জাহাজের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা। অর্থাৎ সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন তাঁরা।

Also Read: জিম্মি জাহাজ-নাবিক উদ্ধারে তৎপরতা শুরু

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকেরা জানিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, তবে রেশনিং করলে অনেক দিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে এখন শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খাবার নিয়ে আশা করি সমস্যা হবে না।

নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। আমাদের চেষ্টা হলো যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনা।’

Also Read: জলদস্যুরা জলে-স্থলে চাপে