Thank you for trying Sticky AMP!!

রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে কারখানার শ্রমিক নিহত

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মো. সুমন মিয়া (২১) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁর দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত সুমন মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মোহনহাটি এলাকার বাশার উদ্দিনের ছেলে। তিনি নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার একটি পাওয়ারলুম কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মো. কিরণ মিয়াও পাওয়ারলুমের শ্রমিক। তাঁরা শহরের একটি ভাড়াবাসায় থেকে একই কারখানায় পাওয়ারলুম চালাতেন।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় রেললাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েক ব্যক্তি ওই তরুণের দ্বিখণ্ডিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ওই তরুণ দুর্ঘটনার সময় রেললাইনে বসে ছিলেন নাকি রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন, সেটা কেউ বলতে পারছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, বিকেল চারটার দিকে ঢাকাগামী আন্তনগর ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ যখন ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে, তখন রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন চৌয়ালা এলাকায় কাজ করেন, এমন কয়েকজন পাওয়ারলুমের শ্রমিক। তাঁরা ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত তরুণকে চিনতে পারেন ও তাঁর বড় ভাই কিরণ মিয়াকে খবর দেন। পরে কিরণ ঘটনাস্থলে এসে ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত তরুণের ভাই কিরণ মিয়া বলেন, দুপুরের দিকে ডিউটি শেষ করে কারখানা থেকে বের হয়েছিলেন সুমন। ওই সময় তাঁর (কিরণ) ডিউটি শুরু হয়। তাই সুমন রায়পুরার আমিরগঞ্জে কেন ও কার সঙ্গে গেলেন জানতে পারেননি। পাশের কারখানার কয়েক শ্রমিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এসে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে পান।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত হওয়া এক পাওয়ারলুম–শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।