
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম (শ্রাবণ) নিহতের মামলা থেকে অভিনেতা ইরেশ যাকেরের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একই হত্যা মামলা থেকে ফোরথট পিআরের (কনসার্ন অব এশিয়াটিক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকরাম মঈন চৌধুরীরও অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।
পুলিশের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনাস্থলে ইরেশ যাকের ও ইকরাম মঈন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের ঘটনাস্থলে উপস্থিতির স্থিরচিত্র বা কোনো ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট মিরপুরে মাহফুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল মাহফুজের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে আসামি করা হয়। জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলক মামলা হচ্ছে অভিযোগ করে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানায় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। পাশাপাশি এসব মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ যাঁদের ইচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে, তদন্ত করে সেসব নাম বাদ দিতে আহ্বান জানায় তারা।
এ নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। জুলাই আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। ফলে এটা ডিপলি ট্রাবলিং অ্যান্ড ডিপলি ডিস্টার্বিং (খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক)।’