Thank you for trying Sticky AMP!!

এক টন ধান বিক্রিতে ঘুষ ৩ হাজার টাকা

কক্সবাজারে প্রতি টন ধান বিক্রি করতে কৃষককে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

১৮ জুলাই সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার ঘুষ–বাণিজ্য বন্ধ ও দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে কৃষি বিভাগ।

তবে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা দেবদাস চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ঘুষ–দুর্নীতির সঙ্গে খাদ্যগুদামের কেউ জড়িত নয়। তবে শক্তিশালী সিন্ডিকেট কৌশলে কৃষকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের কৃষক ছালামত উল্লাহ ও তাঁর চাচা রমজান আলী ১৬ জুলাই সদর খাদ্যগুদামে বিক্রির জন্য ছয় মেট্রিক টন ধান নিয়ে আসেন। কিন্তু গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন ধান কিনতে নানা টালবাহানা শুরু করেন। কৃষক দ্বয়ের অভিযোগ, নিম্নমানের ধান অজুহাত দেখিয়ে সালাহউদ্দিন প্রতি টনে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। ছালামত উল্লাহ বলেন, টাকার দরকার ছিল বলে বাধ্য হয়ে ১৮ জুলাই ১৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাঁরা ছয় মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেন। এর বাইরে ‘বকশিশ’ হিসেবে অতিরিক্ত দুই বস্তা ধান দিতে হয়।

ঘুষ দিয়ে ধান বিক্রির প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক আ ক ম শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনা সত্যি। ঘুষের বিষয়ে জানতে স্বয়ং কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে ফোন করেছিলেন। ঘুষের অভিযোগ শোনার পর মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি তিনি জেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।’