কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। বিনিয়োগ বাড়ার কারণে ইপিজেডে বাড়তি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। নতুন করে নয়টি কারখানা উৎপাদনে যাচ্ছে।
২০১৪ সালের মধ্যে এখানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কুমিল্লার মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুস সোবহান।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকার ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ২৩৮টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টি প্লট বরাদ্দের চুক্তি হয়েছে। বাকি তিনটি প্লটের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে সীমানা বাড়িয়ে এখানে ৫৩১টি প্লট করার প্রস্তাব রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্প্রসারণের অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা ইপিজেডে সোয়েটার, ডেনিম ফেব্রিকস, গার্মেন্টস, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, জুতা, জিপার, সুতা, পলিব্যাগ, প্লাস্টিকসামগ্রী ও কাপড় তৈরির কারখানা রয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে বিদেশি কোম্পানি রয়েছে ১৫টি, দেশি ও বিদেশি কোম্পানি রয়েছে নয়টি এবং বাংলাদেশি কোম্পানি রয়েছে ১০টি।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা ইপিজেডের অবস্থান হওয়ায় পণ্য পরিবহনে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
বেপজার সহকারী ব্যবস্থাপক এ এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে নয়টি নতুন কারখানা চালু হচ্ছে।
নতুন কারখানার মধ্যে এর মধ্যে চীনের মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড কেমিক্যাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি আড়াই কোটি ডলার, জাপানের খেলনা তৈরি কারখানা হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড নয় লাখ ডলার, জাপানের ক্যাট গার্মেন্টস ৩৫ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য ও চীনের যৌথ মালিকানাধীন ফ্যাশন হেয়ারের সামগ্রী তুংহিং বাংলাদেশ ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড দেড় কোটি ডলার, শ্রীলঙ্কার ওয়েস্টার্ন পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ ২৫ লাখ ডলার, পাকিস্তানের সুরটি টেক্সটাইল বিডি দুই কোটি ডলার, তুরস্কের স্টার কার্পেট প্রাইভেট লিমিটেড ২০ লাখ ডলার, তুরস্ক ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন টিএনএস গার্মেন্টস চার কোটি ২৯ লাখ ডলার এবং বাংলাদেশি ওয়াসিস স্পোটর্সওয়্যার লিমিটেড ৬১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করছে।
জানা গেছে, বর্তমানে গ্যাস না থাকার কারণে উৎপাদনে যেতে পারছে না তাইওয়ানের মালিকানাধীন ইউসিবিউ টেক্সটাইল। ওই কারখানাটি তাঁবুর কাপড় তৈরি করবে।
কুমিল্লা ইপিজেডের সবচেয়ে বড় কারখানাটি তৈরি করছে পাকিস্তান। সুরটি টেক্সটাইল নামের পোশাক-সামগ্রী তৈরির কারখানাটি চালু হলে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।