মোবাইল ফোন: বাজেটে মোবাইল ফোন আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব হয়েছে।
সিগারেট: মানভেদে সিগারেটের ওপর প্রায় ১০ থেকে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কর বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর কর ও শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আছে বাজেটে।
বাসের টায়ার: ১৫-১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের বাসের টায়ার আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ও করের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আমদানি করা এলপিজি সিলিন্ডার: দেশীয় শিল্পের রক্ষায় বিদেশি এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাইসাইকেলের টিউব: বাইসাইকেলের টিউব আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোটর গাড়ি: বিভিন্ন হারে সম্পূরক শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব থাকায় ১৫০১-২০০০ সিসি পর্যন্ত মোটরগাড়ি, ১৫০০-২৫০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড গাড়ি, ২০০০ সিসির ঊর্ধ্বে সিকেডি জিপ, ১৫০১-১৮০০ সিসির মাইক্রোবাস, ১৫ আসনবিশিষ্ট গাড়ি এবং ১৫০০ সিসি ও ১৫০১-২৭৫০ সিসির ডবল কেবিন পিকআপের দাম বাড়বে।
সিম কার্ড প্রতিস্থাপন: মোবাইল ফোনের সিম কার্ড হারিয়ে বা খোয়া গেলে কিংবা একই নম্বরের সিম কার্ড পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে বা নিতে গেলে ক্রেতাদের ১০০ টাকা হারে শুল্ক/কর দিতে হবে।
অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র: পোশাকশিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার রেসিসট্যান্ট ডোর, ইমার্জেন্সি লাইট, স্প্রিংকলার সিস্টেম আমদানিতে শুল্কহার সম্পূর্ণ মওকুফের প্রস্তাব।
বেসরকারি খাতের সেবা: ২৩টি সেবা খাতের মধ্যে কয়েকটির ওপর বিভিন্ন হারে মূসক বাড়ানো হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে—ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, ডকইয়ার্ড, ফটোনির্মাতা, ইমিগ্রেশন পরামর্শক ও পরিবহন ঠিকাদারদের ওপর মূসক সাড়ে চার শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হয়েছে। আবাসন ও নির্মাণ খাতের মূসক হার দেড় শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তিন শতাংশ এবং সাধারণ রেস্তোরাঁর ওপর ছয় শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হয়েছে।