বিড়িশিল্পের মালিকেরাও চান ধূমপানমুক্ত দেশ হোক বাংলাদেশ। তবে শুধু বিড়িশিল্পের ওপর অতিরিক্ত কর দিয়ে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়া যাবে না। কারণ ধূমপায়ীদের ৯৮ শতাংশই সিগারেটসেবী। তাই ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে আগে সিগারেট বন্ধ করতে হবে। বিড়িশিল্প বন্ধ হলে ২০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির নেতারা প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিড়ি ও সিগারেটের তুলনামূলক স্বাস্থ্যঝুঁকির ওপর আলোচনা করেন চিকিৎসক মো. আব্দুস সবুর। তিনি বলেন, সিগারেটের তুলনায় বিড়িতে নিকোটিনের পরিমাণ কম থাকে। একটি সিগারেটে যেখানে নিকোটিনের মাত্রা সর্বনিম্ন ৪৮ শতাংশ, সেখানে একটা বিড়িতে নিকোটিনের পরিমাণ গড়ে ৩০ শতাংশ।
রংপুর বিড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, ক্ষতি একই হলেও সিগারেটকে ছাড় দিয়ে বিড়ির ওপর ১১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর চক্রান্ত চলছে। এমন বৈষম্যমূলক নীতির অবসান চাই।
বিড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, প্রতি হাজার বিড়ির ট্যারিফ মূল্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সেখানে বিদেশি কোম্পানির সিগারেটে মাত্র ১ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর প্রতিনিধি। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবনা, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২০ লাখ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। বিড়িশিল্পের শ্রমিকদের ৯০ শতাংশ নারী।
সমিতির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ১০-১৫টি দেশে বিড়ি রপ্তানি করে সুনাম অর্জন করছে। এই সময়ে বাজেটে পক্ষপাতমূলক শুল্কারোপ করে দেশের বাজার ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেওয়ার পরোক্ষ উদ্যোগ। আমাদের কথা শোনার কেউ নেই।
নেতারা জানান, বর্তমানে দেশের ৯৮টি বিড়ি কারখানা চালু আছে। সারা দেশে প্রতিদিন ১৫ কোটি টাকার বিড়ি বিক্রি হয়।