
আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রামে আরও একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো নির্মাণ করা হবে। রেলওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের জমিতে এই ডিপো নির্মাণ করবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ–সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। সাইফ লজিস্টিকসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল সাইফ ও কনটেইনার কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিন।
চট্টগ্রাম বন্দরের অদূরে রেলের কোম্পানির ২১ দশমিক ২৯ একর জমিতে নির্মাণ করা হবে এই কনটেইনার ডিপো। চুক্তি অনুযায়ী সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স ২০ বছরের জন্য জমি লিজ নিয়ে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ করবে। ডিপো পরিচালনা থেকে আয়ের সাড়ে ২১ শতাংশ লভ্যাংশ পাবে রেলওয়ের কোম্পানি। রেল ও সড়কপথে এই কনটেইনার ডিপোতে পণ্য আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সাইফ লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ, কনটেইনার কোম্পানির চেয়ারম্যান রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই চুক্তি বাংলাদেশের ব্যবসায় ইতিহাসে বড় ভূমিকা রাখবে। এই টার্মিনাল নির্মিত হলে ব্যবসা গতি পাবে।’
সাইফ লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বহুমুখী পথে কনটেইনার ব্যবস্থাপনার নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের খুব কাছে এই ডিপো নির্মাণ হবে, এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই টার্মিনাল অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
সাইফ অ্যালায়েন্সের মূল প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড বন্দরে দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। বন্দরের সিংহভাগ কনটেইনার এ দুই টার্মিনালে ওঠানো-নামানো হয়।
কনটেইনার ডিপোতে মূলত রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনা হয়। কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে করে রপ্তানি পণ্য ডিপোতে আনার পর তা শেডে রাখা হয়। এরপর কনটেইনার সাজিয়ে রাখা হয়। শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে কনটেইনার বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩৭ ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ডিপোতে খালাস করা হয়। খালি কনটেইনারও সংরক্ষণ করা হয় ডিপোতে।