Thank you for trying Sticky AMP!!

সঞ্চয়পত্র কেনায় টাকার উৎস দেখাতে না পারলে বিপদ

সঞ্চয়পত্র কিনতেও সাবধান হতে হবে। সঞ্চয়পত্র কেনা–সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যের জন্য জেল-জরিমানা করা হবে। যেমন কেউ যদি সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের টাকার উৎস দেখাতে না পারেন, কিংবা সঞ্চয়পত্র কেনার তথ্য আয়কর নথিতে গোপন করেন, অর্থাৎ মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

Also Read: কোন সঞ্চয় কর্মসূচিতে কত সুদ, কত কর

আজ সোমবার সরকারি ঋণ আইন ২০২১-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র কেনায় মিথ্যা তথ্য দিলে জেল-জরিমানার বিধান রাখার কথাও জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশে মিথ্যা বক্তব্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। যিনি টাকাপয়সা বিনিয়োগ করবেন, তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলেন; যেমন সেই টাকা কোথা থেকে এল আর তা যদি আয়কর নথিতে দেখানো না হয়, তাহলে শাস্তির আওতায় আসবেন তিনি।
সাধারণত করদাতারা আয়কর নথিতে বিনিয়োগ, সম্পদ, আয়-ব্যয়—এসবের তথ্য দিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই করদাতাদের তথ্য মেলে।

সরকারি ঋণ আইনটি সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি আরও জানান, ‘আমাদের সরকারি ঋণ আইনটি ১৯৪৪ সালের, তবে বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণপদ্ধতি ও ডিপোজিট সিস্টেমও বদলে গেছে। তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। আজ বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’