সার্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
এই প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ। বর্তমানে মোট গ্রাহকের প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ কোটি ১২ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
গতকাল গ্রামীণফোনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল—আমরা দায়িত্বশীলভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করব এবং খরচের দক্ষতা বজায় রাখব। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখেও আমরা যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, এটি তারই প্রতিফলন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতি সাময়িকভাবে গতি পেতে পারে, কারণ বাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই নতুন গ্রাহক অর্জনের প্রত্যাশা রয়েছে। প্রতি প্রান্তিকে আমরা প্রযুক্তি, পণ্যের অফার, ডিজিটাল অপারেশন এবং গ্রাহক সম্পৃক্ততায় নতুনত্ব আনছি, যাতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে প্রাসঙ্গিক ও অগ্রণী থাকতে পারি।’
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো মাগনে রিসব্যাক বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনো স্থবির এবং বাজারজুড়ে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর। টানা চার প্রান্তিকের পতনের পর এবার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, একটি বাস্তবসম্মত ও ভবিষ্যৎ-উপযোগী অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা উচিত। যে প্ল্যাটফর্মের ভিত্তি হবে ক্লাউড-নেটিভ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ এবং স্বল্প মেয়াদে প্রভাব সীমিত হলেও প্রবৃদ্ধিতে পুনরায় গতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোগত সুবিধা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।