তাসনিম হোসেন
তাসনিম হোসেন

সাক্ষাৎকার

ইএমআই-সুবিধায় উচ্চ মূল্যের ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো এখন হাতের নাগালে

রেফ্রিজারেটর এখন সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিদিনের বাজার করা থেকে রেহাই পেতে এবং ঝামেলাহীন থাকতে অনেকেই সাধ্যের মধ্যে একটি রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কিনতে চান। তবে ভালো মানের একটি রেফ্রিজারেটর কেনার জন্য এককালীন টাকা অনেকের পক্ষেই জোগানো সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে খোঁজেন কিস্তি বা ইএমআই-সুবিধা। কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে চাইলে আগ্রহীদের করণীয় কী? কোথায় পাবেন এমন সুবিধা? এসব বিষয়েই প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির হেড অব কার্ডস তাসনিম হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দিনার হোসাইন হিমু

প্রশ্ন

রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে কিস্তি বা ইএমআই-সুবিধা কতটা কার্যকর?

তাসনিম হোসেন: আমার মতে, ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে কিস্তি বা ইএমআই-সুবিধা খুব কার্যকর একটি ব্যবস্থা। এর প্রধান কারণ হলো, উচ্চ মূল্যের পণ্য কেনার সময় মোটা অঙ্কের অর্থ পরিশোধের বোঝা থেকে গ্রাহকেরা মুক্তি পান। এই সুবিধায় গ্রাহকেরা সাশ্রয়ীভাবে মাসিক কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের রেফ্রিজারেটর বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কিনতে সক্ষম হন। ফলে ইএমআই-সুবিধা গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং দাম হাতের নাগালের বাইরে থাকলেও ভালো মানের পণ্য কিনতে পারেন।

প্রশ্ন

গ্রাহকদের জন্য আপনাদের ব্যাংকে এ রকম কী কী সুবিধা রয়েছে?

তাসনিম হোসেন: বিভিন্ন রকম সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ইবিএল জিপ’। এর মাধ্যমে ইবিএলের ক্রেডিটধারীরা রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য, ইবিএলের পার্টনার মার্চেন্ট থেকে মাসিক কিস্তিতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। এ ছাড়া ‘ইবিএল ইজি ক্রেডিট’ নামে আরেকটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে কার্ডধারীরা তাঁদের ক্রেডিট কার্ডের অ্যাভেইলেবল লিমিট থেকে নগদ অর্থ ধার নিতে পারেন এবং সেটি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারেন। এই অতিরিক্ত সুবিধাটি গ্রাহকদের রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার সময় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সেই সঙ্গে আমরা গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক–সুবিধাও প্রদান করি।

প্রশ্ন

কিস্তিতে রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষেত্রে সুদের হার বা অতিরিক্ত চার্জ কেমন হয়?

তাসনিম হোসেন: রেফ্রিজারেটর বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহক ইএমআই-সুবিধা নিলে ব্যাংক পণ্যের সম্পূর্ণ ক্রয়মূল্যকে সমান অংশে ভাগ করে প্রতি মাসে গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড বিলে যোগ করে দেয়। এতে গ্রাহক মাসিক কিস্তিতে তাঁর কেনা পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।

প্রশ্ন

ইএমআই-সুবিধা নিতে গ্রাহকদের কী ধরনের কাগজপত্র বা যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন?

তাসনিম হোসেন: ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই-সুবিধা নিতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই একটি অ্যাকটিভ ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে গ্রাহকের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য থাকতে হবে। এ ছাড়া পণ্য কেনার সময় গ্রাহকের কার্ড এবং কার্ডে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাভেইলেবল লিমিট নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না; শুধু একটি মার্চেন্ট জিপ ফরম পূরণ করলেই ইএমআই-সুবিধা গ্রহণ করা যায়।

রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনাকাটায় ইবিএল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা কিস্তি-সুবিধার পাশাপাশি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অথবা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ক্যাশব্যাক
প্রশ্ন

কিস্তিতে রেফ্রিজারেটর কেনার সময় গ্রাহকদের কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন?

তাসনিম হোসেন: অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মার্চেন্টের নিয়ম ও শর্ত ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ক্রয়মূল্য, কিস্তির সংখ্যা (টেনিউর), কিস্তির পরিমাণ—এ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। যেন পরবর্তী সময়ে কোনো বিভ্রান্তি না হয়, তাই লেনদেনের আগে সব তথ্য যাচাই করা উচিত।

প্রশ্ন

প্রথম আলো ডটকম আয়োজিত রেফ্রিজারেটর মেলায় আপনারা অংশ নিয়েছেন। পাঠক এবং আপনাদের গ্রাহকদের উদ্দেশে কী বলার আছে?

তাসনিম হোসেন: মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সুযোগে আমাদের গ্রাহকদের জানাতে চাই, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনাকাটায় ইবিএল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা কিস্তি–সুবিধার পাশাপাশি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অথবা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ক্যাশব্যাক। অফারটি ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাজারে চলমান অফারগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ইলেকট্রনিক পণ্য কেনাকাটায় ইবিএল দিচ্ছে বাজারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা। এ ছাড়া গ্রাহকদের বলতে চাই, কার্ড ব্যবহারের সময় যথাযথ নিরাপত্তাবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ইবিএলের সঙ্গে থাকার জন্য সব গ্রাহকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
তাসনিম হোসেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।