ভ্যাট বাড়তে পারে মুঠোফোনের, দামও বাড়তে পারে
দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) বাড়তে পারে। ফলে দাম বাড়তে পারে মুঠোফোনের।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দেশীয় কোম্পানির মুঠোফোনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিন স্তরে ভ্যাট বসতে পারে। যেমন যেসব প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই বানাবে ও মুঠোফোন উৎপাদন করবে, সেগুলোর ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট বসতে পারে।
যেসব প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন সংযোজন করে, তাদের ক্ষেত্রে দুই ভাবে ভ্যাট আরোপ হতে পারে। যেমন কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন তৈরি করলে এখন ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। অন্যদিকে যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু দেশে সংযোজন করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৭ থেকে ১০ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। এখন ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসে।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, দেশীয় মুঠোফোন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় চাহিদার বেশির ভাগই জোগান দেয়। এখন ধীরে ধীরে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। তাই ভ্যাটের পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে মুঠোফোনের দাম কিছুটা বাড়ে। আগামী অর্থবছর থেকে দাম আরও বাড়তে পারে।
দেশে এখন ১৪টি প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে স্মার্টফোনের বার্ষিক চাহিদা এক কোটির মতো। এই চাহিদার অধিকাংশই মেটায় দেশীয় মুঠোফোন উৎপাদকেরা। তারা স্যামসাং, অপো, বিভো, টেকনো, সিম্ফনি, ওয়ালটন, লাভা, শাওমি, নকিয়া, রিয়েলমি প্রভৃতি ব্র্যান্ডের মুঠোফোন উৎপাদন করে।
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন