
ডিজিটাল লেনদেনের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। এই ক্যাশলেস যাত্রার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো কার্ড। এই লক্ষ্যে কার্ড সেবার পরিসর বৃদ্ধি, গ্রাহকদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন এবং দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর ইউসিবি।
ইউসিবির ব্যাংক কার্ড গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু অনন্য সুবিধা প্রদান করে, যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
নির্দিষ্ট কিছু কার্ডের জন্য ‘ইস্যুয়িং ফি’ নেই এবং বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেন করলে বার্ষিক ফি মওকুফ করা হয়।
ইউসিবির সব কার্ড ইএমভি চিপ-সক্ষম, যা পিসিআইডিএসএস সার্টিফিকেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং লেনদেনকে নিরাপদ রাখে।
ইউনেট (Unet) ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকেরা নিজেদের কার্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
বিশ্বের ১,৪০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ অ্যাকসেস সুবিধা (বিশেষত প্ল্যাটিনাম, সিগনেচার ও ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ডধারীদের জন্য)।
নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্ট, ই-কমার্স ও রিটেইল স্টোরে কেনাকাটায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট।
শূন্য (০) শতাংশ ইএমআই–সুবিধা, যা সুদবিহীন কিস্তিতে কেনাকাটার সুযোগ দেয়।
এসএমই (SME) ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ড।
ইউসিবি-উপায় কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড, যা মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান, যেমন—
অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এখনো নগদ লেনদেনকে প্রাধান্য দেন।
কার্ড পেমেন্ট ও এমএফএস লেনদেনে সামান্য চার্জ থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণে আগ্রহী নন।
‘অনলাইন ফ্রড’ ও কার্ড স্কিমিংয়ের কারণে অনেক গ্রাহক এখনো ডিজিটাল লেনদেন করতে স্বস্তি বোধ করেন না।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা ও ডিজিটাল লিটারেসির অভাব রয়েছে।
কার্ড জালিয়াতি ও সাইবার নিরাপত্তা–ঝুঁকি মোকাবিলায় ইউসিবি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইউসিবি ইএমভি চিপ কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা কার্ড ক্লোনিং প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া অনলাইন লেনদেনের জন্য দুই স্তরের অথেনটিকেশন ও ওটিপি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ২৪/৭ ‘ফ্রড মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করে সন্দেহজনক লেনদেনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইউসিবি গ্রাহক সচেতনতা কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ সেশন চালু করেছে। ইউনেট (Unet) ও উপায় (UPay) অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের কার্ড নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা নিজেরাই লেনদেন সীমা নির্ধারণ, ব্লক/আনব্লক ও নিরাপত্তা সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকেরা যদি ডিজিটাল পেমেন্টের চার্জ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাহলে আরও বেশি মানুষ ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে আসতে পারে। ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামো সম্প্রসারণ যেমন: পজ (POS), কিউআর (QR) পেমেন্ট ও ডিজিটাল ট্রানজেকশনকে আরও সহজ ও জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যেমন এনবিআর, অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নগদহীন লেনদেন উৎসাহিত করতে কর অব্যাহতি বা ভর্তুকি সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফ্রড ডাটা শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা দরকার, যাতে প্রতারণামূলক লেনদেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়। সরকার যদি ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ক্যাশলেস পেমেন্ট গ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়, তবে এটি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ডিজিটাল লেনদেনকে আরও জনপ্রিয় করতে ইউসিবি বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—
নির্দিষ্ট মার্চেন্ট ও পজ ট্রানজেকশনে ফ্রি লেনদেন সুবিধা।
ইএমআই–সুবিধা চালু করে সুদবিহীন কিস্তিতে কেনাকাটার সুযোগ।
কিউআর কোড পেমেন্ট ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, যাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল লেনদেন গ্রহণ করতে পারেন।
কার্ড জালিয়াতি ও সাইবার নিরাপত্তা–ঝুঁকি মোকাবিলায় ইএমভি চিপ কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার।
২৪/৭ ফ্রড মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, যা সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
ইউনেট ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজেদের কার্ড নিয়ন্ত্রণের সুযোগ।
নতুন নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে বাজারে সবচেয়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানকারী ব্যাংক হিসেবে ইউসিবি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। গ্রাহকদের ডিজিটাল ও ক্যাশলেস লেনদেনের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে ইউসিবি অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।