Thank you for trying Sticky AMP!!

এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক

এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন হচ্ছে

এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ ও দায় মূল্যায়নে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতের এই দুই ব্যাংক একীভূত হতে গত মাসে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। দুটি ব্যাংকেরই সম্পদ মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রহমান রহমান হক’।

প্রতিষ্ঠানটি আজ রোববার এক্সিম ব্যাংকে নিরীক্ষার কাজ শুরু করবে। অন্যদিকে পদ্মা ব্যাংকে গত সপ্তাহেই সম্পদ ও দায় মূল্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যাংক খাতের নানা সমস্যা সমাধানে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি পথনকশা অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই পথনকশার অন্যতম বিষয় ছিল ব্যাংক একীভূত করা। সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার পর এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১৮ মার্চ ব্যাংক দুটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।

একীভূত হওয়া সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্প্রতি জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর একীভূতকরণ হওয়ার প্রথম ধাপ। একীভূত হওয়ার আগে উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও দায়ের মূল্যায়ন করতে হবে। নিরীক্ষক নিয়োগ ও এই কাজের খরচ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রহমান রহমান হক আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ব্যাংক দুটির আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। সম্পদ মূল্যায়নের পর দুই ব্যাংক সব বিষয়ে একমত হলে পরের ধাপে এগিয়ে যাবে। নিজেরা একমত হতে না পারলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দায়িত্ব পাওয়ার পর নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়ে ব্যাংক দুটিকে চিঠি দেওয়া হয়। বিশ্বের অন্যতম বড় নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির বাংলাদেশি প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হক।

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পেয়েছি। রোববার থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে বলে কথা রয়েছে। তারা ব্যাংকের দায় ও সম্পদ মূল্যায়ন করবে।’

এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক ছাড়াও সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ব্যাংক একীভূত করতে পৃথক পৃথক সভা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সরকারি খাতের একটি ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে আপত্তি জানিয়েছে।