বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে ৩৪ বিলিয়নের বা ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। আজ বুধবার রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর দিন শেষে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৮৬ কোটি ডলার।
রিজার্ভ থেকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জ্বালানি, কীটনাশক ও খাদ্য আমদানির জন্যই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করা হয়েছে, তাতে প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ৯৮ টাকা।
ডলার-সংকটের কারণে ১৫ মাস ধরে কমছে রিজার্ভ। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। আমদানি দায় মেটাতে ডলার বিক্রির কারণে তা কমে আজ ৩৪ বিলিয়নের নিচে নেমেছে।
এদিকে ডলার–সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় দেশে আনতে এখন প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দর দিচ্ছে। আর রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলারের দর ধরা হচ্ছে ১০০ টাকা। ফলে আমদানিতে ডলারের দাম পড়ছে ১০৫-১০৬ টাকা।
Also Read: ৩৪ নাকি ২৬ বিলিয়ন, রিজার্ভ এখন কত
রিজার্ভ কমে এখন ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার হলেও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরও ৮ বিলিয়ন কম। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে রিজার্ভের হিসাবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার (৭ বিলিয়ন) দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ। এ ছাড়া রিজার্ভের অর্থে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)।
বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। আবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ থেকে অর্থ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বিভিন্ন তহবিল ও ফান্ডে ব্যবহার করা হয়েছে রিজার্ভের আট বিলিয়ন ডলার।
Also Read: রিজার্ভ আর কমতে দেওয়া যাবে না