
আবাসন কোম্পানি বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের (বিটিআই) আয়োজনে ‘বিটিআই হোম ফেস্ট ‘২৩’ বা গৃহ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘লিভ স্মার্ট, লিভ বেটার’—এই ধারণা সামনে রেখে ও উন্নত জীবনযাত্রায় স্মার্ট হোমের গুরুত্বের বিবেচনায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার বিটিআইয়ের বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্প ‘অ্যামাবিলিয়া’ উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান, সিইও নালাকা হেতিয়ারাচ্ছি ও বিটিআইয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গ্রাহকেরা।
হোম ফেস্টে গ্রাহকদের জন্য বিটিআই ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তিন শতাধিক অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে আসে। এ ছাড়া আরও ছিল প্যানেল আলোচনা, অভ্যন্তরীণ সজ্জা নিয়ে বিনা মূল্যে পরামর্শ, কেনাবেচা ও ভাড়ার সুযোগ। বিভিন্ন ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানও তাদের গৃহ ঋণ নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।
স্মার্ট হোম নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্থপতি রফিক আজম, খ্যাতনামা স্থপতি নাজলী হোসেন ও বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান। প্যানেল আলোচনায় বক্তারা অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কী কারণ এবং স্মার্ট ও টেকসই বাড়ি কেনার পেছনে মূল্যের ভূমিকায় আলোকপাত করেন।
আয়োজনের আরেক আলোচনায় বক্তব্য দেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান, বিটিআইয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও একজন জমির মালিক। এই প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত জমির মালিক আবাসন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে জমির মালিকেরা যে ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হন, তা নিয়ে কথা বলেন।
সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জমির মালিক ও আবাসন কোম্পানির মধ্যে বিদ্যমান সংকট উত্তরণের উপায় নিয়ে কথা বলেন এফ আর খান। আবাসন কোম্পানি ও জমির মালিকদের মধ্যকার সংকট নিরসনে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ভূমিকা ও সরকার এই ব্যাপারে কী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়া বিটিআইয়ের অপারেশনাল ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক শামসুল আমিন রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।