দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ সুবিধাজনক করার জন্য ১০ হাজার মেশিন বিতরণ করেছে। ফলে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। এদিকে ১০ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখা গেছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।
আজ রোববার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি করতে ইচ্ছুক ২ হাজার ৮০০ জনের আবেদন আছে মন্ত্রণালয়ে। এর ১০ শতাংশকেও যদি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে বাজারে ধস নামবে। আমরা ধস নামাতে চাই না।’
বাংলাদেশে রপ্তানি করার জন্য স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের মনে থাকার কথা পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছিল। সেটা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তবে অনেক দিন পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল। মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় এবং পেঁয়াজের ওজন কমে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি দাম বাড়তে পারে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই পেঁয়াজের একটা স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বিরাজ করুক। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব কৃষি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারব। আমরা চাই কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, আবার ভোক্তারাও যেন ক্ষতির শিকার না হন।’
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যাওয়াকে যৌক্তিক মনে করেন কি না, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘অবশ্যই যুক্তিসংগত নয়। তবে সামগ্রিক অর্থনীতি মাথায় রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটি কোনো সাইকেল নয় যে আমরা যেকোনো একটা গলিতে ঢুকিয়ে দিলাম।’
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষিসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত আছে। চলতি মাসের মধ্যে আসবে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার টন এবং আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ টন। এরপর নিয়মিত পেঁয়াজের সরবরাহও থাকবে বাজারে।