ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

৫৬% পরিবারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আছে: বিবিএস

দেশের ৫৬ শতাংশের বেশি পরিবারের সদস্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে এমন চিত্র পেয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। গত অর্থবছর শেষে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ছিল ৫৫ শতাংশ পরিবার।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুসারে, এখন ইন্টারনেটের ব্যবহারও শহরে বেশি, ৬৪ শতাংশ। গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিবারের হার ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি প্রতি তিন মাস পরপর এ জরিপ করে। সর্বশেষ জরিপটি করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে।

এতে ৬১ হাজার ৬৩২টি খানা (পরিবার) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের থেকে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ষষ্ঠ

দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে বরাবরই প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে।

দেশে ইন্টারনেটের উচ্চ মূল্য, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, ডিজিটাল সাক্ষরতাসহ নানা কারণে এ খাতে ধীরগতি। ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪৪ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি ১০০ জনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৫৫ জন।

সম্প্রতি প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের সূচক নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এডিবি।

৭২% পরিবারে স্মার্টফোন আছে

দেশের সাড়ে ৭২ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন আছে। এমন তথ্যও প্রকাশ করেছে বিবিএস। স্মার্টফোন হলে সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ।

বিবিএস আরও বলছে, বর্তমানে দেশের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৮১ জন তথা ৮১ শতাংশ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করেন। আবার মুঠোফোন ব্যবহার করলেও সবার নিজস্ব মুঠোফোন নেই। নিজের মুঠোফোন আছে, এমন মানুষ ৫৭ শতাংশ।

জরিপে দেখা যায়, মুঠোফোন ব্যবহারের দিক থেকে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার ৮১ শতাংশ আর নারীদের হার ৭৯ শতাংশ। তবে মুঠোফোনের মালিকানার দিক থেকে নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছেন। বর্তমানে ৬৩ শতাংশ পুরুষের নিজের অন্তত একটি মুঠোফোন আছে, যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশ।