ইন্দোনেশিয়ার কড়াকড়িতে দেশে পাম তেলের দাম বাড়ছে

খোলা পাম তেল
ফাইল ছবি

ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে দেশের বাজারে পাম তেলের দাম দুই দিনের ব্যবধানে লিটারে ৩ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি খোলা সয়াবিনের দামও পাইকারি বাজারে বাড়তে শুরু করেছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিটারপ্রতি পাম তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। যদিও সরকারিভাবে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১১৭ টাকা। সারা দেশে পাম তেল এই দামে বিক্রি হওয়ার কথা। এত দিন সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের আশপাশে পাম তেল বিক্রি হচ্ছিল বাজারে। কিন্তু গত দুই দিনের ব্যবধানে তা লিটারে কমপক্ষে ৩ টাকা বেড়েছে।

এদিকে বাজারে খোলা সয়াবিনের দামও বাড়তে শুরু করেছে। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম বেঁধে দিয়েছে ১৬৭ টাকা। তবে এই দামে বাজারে খোলা সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিনের দাম ছিল ১৭০ টাকার আশপাশে। এখন তা লিটারে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকান রব স্টোরের বিক্রেতা মো. নাঈম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাম তেলের দাম প্রতি ড্রামে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। আমরা সেভাবে দাম সমন্বয় করে বেচাকেনা করছি। প্রতি ড্রামে সাধারণত ২০০ লিটার পাম তেল থাকে।’

রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিন আগে হঠাৎ ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এতে দেশের বাজারে পাম ও খোলা সয়াবিনের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। তবে বাজারে বড় ধরনের কোনো সংকট বা অস্থিরতা নেই বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

বৈশ্বিক গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ইন্দোনেশিয়া তার অভ্যন্তরীণ বাজারে পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। গত বছরও ইন্দোনেশিয়া রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় বাংলাদেশে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ছিল। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপাদন হয় ইন্দোনেশিয়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের বড় নিয়ন্ত্রণ দেশটির হাতে।