যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক

এখনো চুক্তি করতে না পারার বড় কারণ প্রস্তুতির ঘাটতি

শুল্কহার কমানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে দেরি করেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দেশের বাণিজ্যবিষয়ক গবেষক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীসহ এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেও সময় নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করতে না পারার বড় কারণ সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত শুল্কহার কমানো নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির নেতৃত্বে থাকার কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ কাজে এমন ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আলোচনাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। আলোচনা, দর-কষাকষি ও চুক্তি করার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সামনে এসেছেন পরে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের জন্য পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পাঁচ দিনের মাথায় ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ।

আগামী কয়েক দিন নিয়মিত বৈঠক হবে। তারপর অবস্থানপত্র প্রস্তুত করে পাঠানো হবে যুক্তরাষ্ট্রে। তার ভিত্তিতে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। আমরা আশাবাদী যে ভালো এটা ফল শেষ পর্যন্ত পাব।
মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্যসচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়ে তিন মাসের জন্য সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে আরেকটি চিঠি পাঠান বাণিজ্য উপদেষ্টা। এতে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়।

পরে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক বজায় রেখে সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে। তিন মাসের শেষ সময় ছিল ৯ জুলাই। এর আগের দিন ৮ জুলাই ট্রাম্প নতুন করে ঘোষণা দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কহার হবে ৩৫ শতাংশ, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। নতুন হার কার্যকর হলে তখন মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া চুক্তি করার ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। দেশ দুটি যথাক্রমে ২০ ও ১৯ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।

প্রথম আলোচনা লুৎফে সিদ্দিকীর

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক গত ১৬ এপ্রিল ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে (ডিসি) ইউএসটিআর, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচি ঠিক করা হয়েছে।

২১ এপ্রিল ওই আলোচনায় লুৎফে সিদ্দিকী যোগ দেন। এ দিন ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকও শুরু হয়। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্য কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, ওই দিন ইউএসটিআরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন লুৎফে সিদ্দিকী। কিন্তু তেমন কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। এই আলোচনায় অনুপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এরপর পুরো মে মাসে পাল্টা শুল্কহার কমানো নিয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি। পরে আলোচনার এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে লুৎফে সিদ্দিকীও আর থাকেননি।

জুন মাসের প্রথম দিক থেকে ইউএসটিআরের সঙ্গে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (প্রকাশ না করার চুক্তি) করার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি-চালাচালি শুরু হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (প্রকাশ না করার চুক্তি) হয় বাংলাদেশের। ১৭ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএসটিআরের অনলাইন বৈঠক হয়।

বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ১৭ জুনের বৈঠককে প্রথম দফার আনুষ্ঠানিক আলোচনা হিসেবে গণ্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই মধ্যে প্রস্তাবিত শুল্ক চুক্তির একটি খসড়া বাংলাদেশকে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যমন্ত্রী টেঙ্কু জাফরুল আজিজ গতকাল জনসমক্ষে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের কাছে কী চাইছে। অথচ আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রকাশ না করার চুক্তি থাকার কথা বলে কিছুই জানাতে পারছেন না।
সেলিম রায়হান

আলোচনার দায়িত্বে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ২৬ জুন তিনি ইউএসটিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, এ বৈঠকের পর খলিলুর রহমান সরকারকে এমন ইঙ্গিত দেন যে তখন পর্যন্ত আলোচনায় সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।

পরে ৩ জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে আবার বৈঠক করেন খলিলুর রহমান। এবার অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টাও। এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে পাল্টা শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হয় ইউএসটিআরের কাছে। সূত্রগুলো জানায়, কূটনৈতিক ভাষায় ইউএসটিআরের পক্ষে আশ্বাস দেওয়া হয় যে বিষয়টি তারা দেখবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, এ বৈঠকের পর বিদেশি একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরকারকে এমন ইঙ্গিত দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে পারে।

শেষ দিকে সামনে এলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

৯ থেকে ১১ জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক করে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি হচ্ছে দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এ দফার আলোচনায় বাদ থাকেন খলিলুর রহমান। এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিন দিনের আলোচনা শেষে দলটি ফিরে আসে ১৩ জুলাই।

এরই মধ্যে ৮ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তাঁরা ৩৭ এর বদলে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার পরদিন ১৪ জুলাই বাণিজ্য উপদেষ্টা সচিবালয়ে বৈঠক করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে। এ বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রকাশ না করার চুক্তি থাকায় সেখানে অবশ্য অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা। সেদিন তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা হবে এবং এ জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজসচিব মাহবুবুর রহমানসহ খাদ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, পররাষ্ট্র ইত্যাদি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বিকেলে অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরন এবং আরেক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ২২ জুলাই আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাঁর আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগামী কয়েক দিন নিয়মিত বৈঠক হবে। তারপর অবস্থানপত্র প্রস্তুত করে পাঠানো হবে যুক্তরাষ্ট্রে। তার ভিত্তিতে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। আমরা আশাবাদী যে ভালো এটা ফল শেষ পর্যন্ত পাব।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, এ বৈঠকের পর বিদেশি একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরকারকে এমন ইঙ্গিত দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে পারে।

দরকার ছিল বহুপক্ষীয় শক্তিশালী দল

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার কমানোর বিষয়ে অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে প্রস্তুতির বড় ঘাটতি ছিল বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যথাসময়ে আলোচনা ও দর-কষাকষিটা আমরা করতে পারিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন একটা উদ্যোগ নিলেন, তখন বিষয়টিকে আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দেখার দরকার ছিল। অথচ আমরা কী করলাম? প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত ও পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আলোচনা করার জন্য ঠিক করলাম। আমাদের পণ্যের আমদানিকারকেরা হতাশার সুরে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ শুল্ক কমানোর আলোচনায় অন্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে।’

এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘আলোচনার কোনো পর্যায়েই ব্যবসায়ীদের রাখা হয়নি। কোনো লবিস্টও নিয়োগ করা হলো না। দর-কষাকষি করার অভিজ্ঞতা যাঁদের নেই, তাঁদের দেওয়া হলো দায়িত্ব। কী আর বলব, আমরা এখন অন্ধকারে আছি।’

পরিকল্পিতভাবে সরকার দর-কষাকষির কাজটি এগিয়ে নিতে পারেনি বলে মনে করেন বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকাশ না করার চুক্তি করা হলো বুঝলাম। কিন্তু শুল্ক চুক্তির খসড়ায় কী আছে, তা একজন উপসচিব বা যুগ্ম সচিবকে জানতে দিলেও ব্যবসায়ী নেতাদের জানতে দেওয়া যাবে না—এটা হয় না।’

ফজলুল হক বলেন, ‘দর-কষাকষির পর্যায়গুলোতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের রাখা হলে খুব বেশি কিছু যে হয়ে যেতো তা বলছি না, কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের কিছু জিজ্ঞাসাই করবেন না কেন?’

ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদেরাও তেমন আশাবাদী হতে পারছেন না। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, পুরো বিষয়টা নিয়ে একধরনের ধোঁয়াশা আছে। যেহেতু বাণিজ্যের বাইরের বিষয়ও এখানে আছে, শুরু থেকেই তাই দরকার ছিল আলোচনা ও দর-কষাকষির জন্য একটি বহুপক্ষীয় শক্তিশালী দল গঠন করা।

ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি একেক দেশের সঙ্গে একেকভাবে করছে জানিয়ে সেলিম রায়হান বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যমন্ত্রী টেঙ্কু জাফরুল আজিজ গতকাল জনসমক্ষে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের কাছে কী চাইছে। অথচ আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রকাশ না করার চুক্তি থাকার কথা বলে কিছুই জানাতে পারছেন না।’