শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

দ্বিতীয় প্রান্তিকে রূপালী ব্যাংকের মুনাফা কমেছে

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রূপালী ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। তবে আয় কমলেও ব্যাংকটির নগদ অর্থ প্রবাহ বেড়েছে। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঘোষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রূপালী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৭ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে তা ছিল শূন্য দশমিক ৪২ টাকা। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন ছয় মাসে সমন্বিত ইপিএস শূন্য দশমিক ২০ টাকা, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে যা ছিল শূন্য দশমিক ৮৯ টাকা।

অন্যদিকে নগদ প্রবাহের দিক থেকে বড়সড় অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১৩৯ দশমিক ১১ টাকা। ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৬৯ টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৫ দশমিক ১৯ টাকা। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৪ দশমিক ৯৭ টাকা।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের মুনাফা হ্রাসের কারণ মূলত মোট পরিচালন আয় কমে যাওয়া। অন্যদিকে নগদ প্রবাহ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জমার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়া।

গত কয়েক বছরে রূপালী ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ স্টক ও ২০২১ সালে ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

বর্তমানে রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ আর ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ব্যাংকটির প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ শেয়ার।

সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রূপালী ব্যাংককে দেওয়া ৭০০ কোটি টাকার পুনর্ভরণ সহায়তা শেয়ারে রূপান্তরিত হচ্ছে। ফলে সরকারের নতুন শেয়ার ইস্যুর পর ব্যাংকটির প্রায় ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা চলে যাবে সরকারের হাতে।