Thank you for trying Sticky AMP!!

অনেক কর্মীই আর পুরো সময় অফিসে ফিরতে পারবেন না

বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন না যে করোনা মহামারির পর কর্মজীবীরা আবার পুরো সময় অফিস ব্যবস্থায় ফিরে আসবেন। বিবিসির একটি বিশেষ জরিপে এ ফলাফল দেখা গেছে। ১ হাজার ৬৮৪ জনের ওপর করা ওই জরিপের ৭০ শতাংশই মনে করেন, কোভিড–পূর্ববর্তী সময়ে কর্মীদের যে হার ছিল, সেই হারে অফিসে ফিরে আসবেন না।

সেই সঙ্গে বেশির ভাগ কর্মজীবীই বলেন, তাঁরা পুরো সময় বা কমপক্ষে কিছু সময় বাড়িতে থেকে কাজ করতে পছন্দ করবেন। তবে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকেরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে এটি কর্মক্ষেত্রের সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করবে।
বিবিসির জন্য এ জরিপ কাজ করেছে ইউগভ। জরিপে ৫৩০ জন জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের অর্ধেকই বলেন যে কর্মীরা বাড়িতে অবস্থান করলে সৃজনশীলতা ও সহযোগিতা উভয়ের ওপরই বিরূপ প্রভাব পড়ে। তবে জরিপে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের মাত্র ৩৮ শতাংশ এমনটা মনে করেন।

ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস ও টেক জায়ান্ট অ্যাপলের মতো বড় সংস্থাগুলোর কর্তারা আরও নমনীয়তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। গোল্ডম্যান স্যাকস কর্তৃপক্ষ তো বাড়ি থেকে কাজ করাকে একরকম ‘বিঘ্ন’ বলে অভিহিত করেন।
তবে অনেকেই আবার মনে করেন, ঘরে বসে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ফলে উৎপাদনশীলতা বা অর্থনীতির ক্ষতি হবে না। গবেষণা অনুসারে তিন-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ বিশ্বাস করেন যে তাঁদের বস তাঁদের বাড়িতে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬০ শতাংশের বেশি মনে করেন যে তরুণ কর্মীদের জন্য মুখোমুখি যোগাযোগ বা ব্যক্তিগত পরামর্শ ছাড়া এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। এর আগে বিশেষজ্ঞরাও দেখেছেন, করোনা মহামারির কারণে চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ বছরের নিচে যাঁদের বয়স। বিবিসির জন্য করা এ বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারির কারণে কিছু অসমতা বেড়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক কর্মী মনে করেন, ঘরে বসে অফিস করার সুযোগ নারীদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। কারণ, সন্তান পালনের মতো দায়িত্বগুলো এতে কম বাধাগ্রস্ত হবে।