এলডিসি থেকে উত্তরণের নিয়ম

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। তবে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার এই প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে কি না, সেই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় দেশটির মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচক দিয়ে। এই মূল্যায়ন করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে অন্তত ছয় বছর লাগে।

উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রথমেই ওই তিনটি সূচকের দুটিতে নির্ধারিত মান অর্জন করতে হয়। তবে এই মান সব সময় এক থাকে না, এটি পরিবর্তন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার আরেকটি উপায় আছে। সেটি হলো, নির্ধারিত মাথাপিছু আয়ের দ্বিগুণ মাথাপিছু আয় হলেও একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারে।

দুটিতে মান অর্জন করলে একটি দেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তিন বছর পরপর এই মূল্যায়ন করে সিডিপি। প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জনের পরের তিন বছর ধারাবাহিকতা দেখে থাকে সিডিপি। তিন বছর পরের মূল্যায়নে ওই সূচকগুলোতে ধারাবাহিকতা থাকলে অর্থাৎ, তিনটির মধ্যে অন্তত দুটিতে মান অর্জন করলে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সুপারিশ করে সিডিপি। এখানেই শেষ নয়। আরও তিন বছর পর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দেওয়া হয় উন্নয়নশীল দেশে হওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন।

বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালে চূড়ান্ত সুপারিশ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিলবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি।