
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, চীনের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি বিওয়াউডি সাংহাই অটো শোতে বা গাড়ি প্রদর্শনীতে সিগাল নামের এক গাড়ি নিয়ে এসেছে। এই গাড়ির বৈশিষ্ট্য দেখে বিশ্লেষকেরা রীতিমতো চমকে গেছেন। এক চার্জে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এই গাড়ি। দাম মাত্র ১১ হাজার ডলার, যা ইউরোপের বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ির এক-চতুর্থাংশ।
এ গাড়ি দেখে মরগ্যান স্ট্যানলির বিশ্লেষক অ্যাডাম জোনস এক নোটে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, চীনের গাড়ি কোম্পানিগুলো যে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমিয়ে দিচ্ছে, সিগাল তার আরেকটি নজির। তিনি আরও বলেন, এতে বোঝা যাচ্ছে, চীনের গাড়ি কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে এ-জাতীয় প্রাথমিক পর্যায়ের বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানিতে আরও আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করবে।
এদিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধিতে টেসলা চলতি বছর এ পর্যন্ত ছয়বার বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমিয়েছে। টেসলার অনুসরণে বিশ্বের অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি, বিশেষ করে চীনের কোম্পানিগুলো দাম কমাচ্ছে।
রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, সাংহাইয়ের গাড়ি প্রদর্শনী ও সিগালের বিষয়-আশয় দেখে মনে হচ্ছে, কম দামের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে চীনের কোম্পানিগুলোই নেতৃত্ব দেবে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনেও তারা এগিয়ে থাকবে।
এ পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের গাড়ি সরবরাহকারী কোম্পানি ফরেসিয়ার প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক কোলার রয়টার্সকে বলেন, চীনের ক্রেতাদের কাছে যে গাড়ি আকর্ষণীয়, তা ইউরোপীয় ক্রেতাদের কাছেও আকর্ষণীয় হবে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপে প্রতিবছর ১০ লাখ চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হতে পারে বলে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। ২০২০ সালের পর দেশটির বৈদ্যুতিক গাড়ির রপ্তানি চার গুণ বেড়েছে।