সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ’ লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে প্রার্থীদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগইন করতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমেও বিষয়টি জানানো হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট ও প্রার্থীর মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি/স্মার্টকার্ড) সঙ্গে আনা বাধ্যতামূলক।
এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় পদের তুলনায় প্রার্থীর সংখ্যা আকাশচুম্বী। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে মোট শূন্য পদ রয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৫টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ প্রার্থী। সেই হিসাবে প্রতিটি পদের বিপরীতে লড়াই করবেন প্রায় ৭৫ চাকরিপ্রত্যাশী।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল নয়টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর আর কোনো প্রার্থীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থীর কানের ভেতর ছোট ইয়ারফোন আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে প্রয়োজনে টর্চলাইট ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া কেন্দ্রে মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
ওএমআর শিট: উত্তরপত্র (ওএমআর) অবশ্যই কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। পেনসিল ব্যবহার করলে উত্তরপত্র সরাসরি বাতিল হবে। ওএমআর শিট ভাঁজ করা, স্ট্যাপল করা বা ময়লা লাগানো যাবে না।
প্রশ্নপত্র: পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিটের পাশাপাশি প্রশ্নপত্রও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, নিয়োগের নামে কোনো অসাধু ব্যক্তি বা চক্রের সঙ্গে লেনদেন না করার জন্য প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে।