Thank you for trying Sticky AMP!!

ই-নথি থেকে ডিজিটাল নথি যুগে যাচ্ছে দেশ: জুনাইদ আহমেদ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় এনে দিতে এবার ১৮ হাজার উপজেলা অফিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪০ হাজার অফিসকেও উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে এনে সেখানেও ই-নথি ব্যবহারের আওতায় আনতে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। একই সঙ্গে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনবান্ধব প্রশাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে ই-নথি থেকে ডিজিটাল নথি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।


প্রতিমন্ত্রী গতকাল শনিবার জুম অনলাইনে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবদের নিয়ে ই-নথিবিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস্তবায়নে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে একটি জনবান্ধব জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে ই-নথির ব্যবহার ইউনিয়ন সেবা সেন্টার পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের ৮ হাজার ২৩৪টি দপ্তর ই-নথি ব্যবহার করছে। খুব দ্রুত উপজেলা পর্যায়ের ১৮ হাজার অফিসে এবং ইউনিয়নের ভূমি অফিস, ডিজিটাল সেবা সেন্টারসহ সব জায়গায় এই ই-নথি চালু করা হবে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব তরঙ্গের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এবং কোভিড–১৯–এর অপ্রত্যাশিত অবস্থা মোকাবিলায় গত পাঁচ মাসে আমাদের মধ্যে ই-নথি ব্যবহারে যে সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, তা থেকে আরও একটি নতুন সংস্করণে যেতে যাই। যেখানে অডিও-ভিজ্যুয়াল কল, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, ওসিআর, টেক্সট টু স্পিচ, স্পিচ টু টেক্সট, এআই প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটিয়ে ডি-নথি চালু করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের ২৮ জন একান্ত সচিব এই কর্মশালায় অংশ নেন।