Thank you for trying Sticky AMP!!

জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক

আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে। ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার সপ্তম দিনের মতো কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বেলা সোয়া দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা আজ মঙ্গলবারের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আগামীকাল বুধবার থেকে দুদিন সর্বাত্মক ধর্মঘট ডাক দেন।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’–এর ব্যানারে এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের ‘মধ্যস্থতায়’ ছাত্রলীগের নেতাদের বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে তাঁদের এ আন্দোলন। এ ছাড়া ‘পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা’ ছাড়া এসব উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এসব দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দুদফা বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

গতকালের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে দীর্ঘ সময় রেখে দিলে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম অর্জন করা যাবে না। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত এই উপাচার্যের পদত্যাগ ও তাঁর দুর্নীতির যথাযথ বিচার এবং এই দুর্নীতিতে সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

আজ মঙ্গলবারের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ। 

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খবির উদ্দিন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া ও অধ্যাপক কামরুল আহসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস ও অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও অধ্যাপক শামীমা সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।