
অধ্যায় ৩
প্রশ্ন: পানাম নগর কোথায় অবস্থিত এবং কেন গড়ে উঠেছিল?
উত্তর: উনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে সোনারগাঁওয়ে পানাম নগর গড়ে উঠেছিল।
প্রশ্ন: সোনারগাঁও কোথায় অবস্থিত এবং কোন সময়ের রাজধানী ছিল?
উত্তর: সোনারগাঁও ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল।
প্রশ্ন: লালবাগ কেল্লাটি কোথায় এবং কে নির্মাণকাজ শুরু করেন?
উত্তর: ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়। আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ এই দুর্গটির নির্মাণকাজ শুরু করেন।
প্রশ্ন: লালবাগ কেল্লার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: লালবাগ কেল্লার দুটি বৈশিষ্ট্য:
১. দুর্গটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি
২. দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ এবং একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলার নবাবের রাজপ্রাসাদ কোনটি এবং এটি কে তৈরি করেন?
উত্তর: আহসান মঞ্জিল বাংলার নবাবের রাজপ্রাসাদ; যেটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত। মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতুল্লাহ এ প্রাসাদটি তৈরি করেন।
প্রশ্ন: আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি কে বিক্রি করে দেন এবং আবার কে এটিকে ক্রয় করেন?
উত্তর: আঠারো শতকে জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহর পুত্র শেখ মতিউল্লাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে তা ক্রয় করে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।
প্রশ্ন: আহসান মঞ্জিলের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: আহসান মঞ্জিলের দুটি বৈশিষ্ট্য:
১. এ প্রাসাদের উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি লম্বা বারান্দা
২. এ ছাড়া রয়েছে জলসা ঘর, দরবার হল, রংমহল।
প্রশ্ন: আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি কবে এর ঐতিহ্য হারায় এবং কে এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেয়?
উত্তর: জমিদার প্রথার বিলুপ্তি ঘটলে আহসান মঞ্জিল তার ঐতিহ্য হারায়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রাসাদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রশ্ন: ‘পুন্ড্রনগর’ কী এবং এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মৌর্য আমলে মহাস্থানগড় নামের প্রাচীন নগরটি ‘পুন্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত।
বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল