Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাষা আন্দোলন নিয়ে

∎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়। এটিই ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন।

∎ তমদ্দুন মজলিশের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে? বাংলা নাকি উর্দু‌’ প্রকাশিত হয়।

∎ ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে কার্যক্রম পরিচালিত হলে পূর্ব বাংলা কংগ্রেস পার্টির সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এর প্রতিবাদ করেন। তিনি ‘বাংলা’ ভাষাকেও অধিবেশনের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

∎ ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়।

∎ ১৯৪৮ সালে ‘বাংলা ভাষা আরবি হরফে’ লেখার প্রস্তাব দিলে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ এর প্রতিবাদ করেন।

∎ ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে এ ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে নতুন করে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।

∎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি সভা ও ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করে।

∎ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ১৪৪ ধারা ভেঙে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ছাত্রদের সভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়।

∎ পৃথিবীতে ভাষার জন্য প্রথম শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউলসহ অনেকে।

∎ ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সারা রাত জেগে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বা শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পুলিশ এ মিনারটি ভেঙে দেয়।

∎ ১৯৫৩ সালে অস্থায়ী শহীদ মিনারের স্থানে শিল্পী হামিদুর রহমানের নকশা ও পরিকল্পনায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

∎ ১৯৫৬ সালে সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়।

∎ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেসকোর অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই দিনটি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।