টাটকা রস

মেসির বিয়ে দেশি ভার্সন

সম্প্রতি দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে বিয়ে করলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেই বিয়েটা যদি হতো বাঙালি কায়দায়, তাহলে কেমন হতো?

ভেবেছেন সোহাইল রহমান

বিয়ের আগের রাতে পাড়াপড়শিরা মিলে গীত গাইত।

কাইল আমরার রোকুজ্জো রানির বিবাহ হইব, বিবাহ হইব...

গেটে ফিতা কাটার টাকা নিয়ে মেসির শ্যালক-শ্যালিকাদের সঙ্গে চলতে তুমুল দর–কষাকষি। শেষমেশ গ্যাঞ্জাম মিটত মুরব্বিদের মধ্যস্থতায়। এ ছাড়া গেটে মেসিকে দেওয়া হতো হলুদ আর মরিচের শরবত।

ছিহ্‌, সামান্য এই কয়টা টাকা দিতেই এমন করতেছেন! আমাদের পাড়ার রোনালদো তো দুইটা খ্যাপ খেললেই এর চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করে।

ওই, তোরা আয়া পড়। খেলুম না এগো লগে।

খাওয়াদাওয়া নিয়ে একটা না একটা ঝামেলা হতোই। বোরহানি অথবা রেজালা শর্ট পড়ত নির্ঘাত।

কোন বাবুর্চি রানছে রে? রোস্টে লবণ বেশি হইছে।

আর কইয়েন না ভাই! বোরহানি চাইছি, কয়, বোরহানি নাই, পানি খান।

এক পাশে টেবিল-চেয়ার নিয়ে কেউ বসত উপহার

ওঠানোর জন্য। সেখানে উপহার জমা দিয়ে নাম লেখাতে হতো নির্ঘাত।

লেখেন, জেরার্ড পিকে আর শাকিরা ১ হাজার টাকা।

হায়রে ফকিন্নির ঘরের ফকিন্নি! এই জমানায় ১ হাজার কোনো ট্যাকা হইল!

বিয়ের আসরে এক ফাঁকে মেসির জুতা সরিয়ে ফেলত শ্যালক-শ্যালিকারা।

তোমার ভাই-বোনেরা যে জুতার টাকা চাইতে আসল না; কাহিনি কী?

ওরা বলছে, টাকা লাগব না। কিন্তু জুতাও তুমি আর ফেরত পাবা না।

 হায় হায়, পোলাপান তো আমার গোল্ডেন বুট নিয়া ভাগছে।

 খাওয়াদাওয়া শেষে শ্যালিকারা মেসির

হাতও ধুইয়ে দিত।

দুলাভাই, আসেন আপনার হাতটা ধুয়ে দিই।

হাত ধুয়ে কী করব? আমি তো কাঁটা চামচ দিয়ে খাইছি। হে হে হে।

 বিদায়ের সময় সব আত্মীয়স্বজনকে জড়িয়ে ধরে তুমুল কান্নাকাটি করত রোকুজ্জো।

আমার মেয়েটাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম, বাবা। তুমি ওর খেয়াল রেখো।

আব্বা, আপনি হয়তো ভুলে গেছেন ও কয়েক বছর ধরে আমার সঙ্গেই থাকে।

 রাতে উপহারের বাক্সগুলো খোলার সময় শোনা যেত নানান মন্তব্য।

হুহ্, দেখ না, পেপ গার্দিওয়ালা নাকি এত বড় কোচ। আর কী দিছে, আড়াই শ টাকার

কাপ-পিরিচ সেট? ছ্যাহ্!