তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

রচনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রিয় পরীক্ষার্থী, আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ওপর রচনামূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: কাজের ধরনের ভিত্তিতে কম্পিউটার ভাইরাসকে কত ভাগে ভাগ করা হয়? সংক্ষেপে এর বিবরণ দাও।

উত্তর: কাজের ধরনের ভিত্তিতে সক্রিয় হওয়ার পর কম্পিউটার ভাইরাসকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়—

১. নিবাসী ভাইরাস ও

২. অনিবাসী ভাইরাস।

নিচে এগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলো—

নিবাসী ভাইরাস

নিবাসী ভাইরাস হলো এমন ভাইরাস, যা চালু হওয়ার পর মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে থাকে। যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়, তখনই সেটি সেই প্রোগ্রামকে

সংক্রমিত করে।

অনিবাসী ভাইরাস

কোনো কোনো ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠার পর অন্য কোন কোন প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায়, সেটি খুঁজে বের করে। এরপর সেগুলোকে সংক্রমণ করে এবং পরিশেষে মূল প্রোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এদের অনিবাসী ভাইরাস বলা হয়।

প্রশ্ন: ম্যালওয়্যার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পাঁচটি উপায় লেখো।

উত্তর: কম্পিউটারে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যারের সাধারণ নামই হলো ম্যালওয়্যার। ম্যালওয়্যার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পাঁচটি উপায় নিচে দেওয়া হলো—

১. বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারের ম্যালওয়্যারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কাজ করে, যা একধরনের সফটওয়্যার, যা ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

২. ফায়ারওয়াল-ব্যবস্থার মাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা ম্যালওয়্যারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা

করে থাকে।

৩. যেহেতু প্রতিনিয়তই ম্যালওয়্যার তৈরি হচ্ছে, তাই এর তৈরি, বিপণন, বিকাশের ব্যাপারটি আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা উচিত।

৪. সব ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে। অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার এসব প্যাটার্নের তালিকা সংগ্রহ করে এবং এর ভিত্তিতে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারটি শনাক্ত করে। তাই এই তালিকাটি নিয়মিত হালনাগাদ করার প্রয়োজন হয়। এভাবে সব সময় ভাইরাস থেকে আইসিটি যন্ত্রকে রক্ষা করা যায়।

৫. পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক, নেটওয়ার্ক গেটওয়ের সাহায্যে ভাইরাস ছড়ায়, তাই এসব ব্যবহারে সচেতন হলে এর থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন: কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? বর্ণনা করো।

উত্তর: কম্পিউটার ভাইরাস একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার। কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা হলো—

১. একটি আপডেট অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হবে। এরপর পুরো কম্পিউটারটি স্ক্যান করে ভাইরাস শনাক্ত করতে হবে এবং ওই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে প্রাপ্ত ভাইরাসগুলো ধ্বংস করতে হবে।

২. চেক করতে হবে ভাইরাস দ্বারা কীভাবে কম্পিউটারটি আক্রান্ত হলো। যদি পেনড্রাইভের মাধ্যমে হয়, তবে পেনড্রাইভটি অ্যান্টিভাইরাস দ্বারা স্ক্যান করতে হবে অথবা পেনড্রাইভ ফরম্যাট দিতে হবে। ভাইরাস ছড়ানোর উত্স খুঁজে নির্মূল করতে হবে।

৩. ইন্টারনেট থেকে যাতে ভাইরাস আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য ইন্টারনেট সিকিউরিটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন: কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো কী কী?

উত্তর: কম্পিউটার ভাইরাস হলো একধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার, যা পুনরুত্পাদনে সক্ষম এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সংক্রমিত হতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো:

১. কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া।

২. কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া।

৩. কম্পিউটার ঘন ঘন রিবুট হওয়া।

 বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল

মাস্টার ট্রেইনার, প্রভাষক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা