Thank you for trying Sticky AMP!!

‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’–এর কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেয়

থাইল্যান্ডে শিক্ষা সংস্কারের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’

থাইল্যান্ডে সরকার পতন ও রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্বের দাবিতে চলা কয়েক মাসের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যাংককের স্কুলশিক্ষার্থীরা। গত শনিবার তাদের এ বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সব ধরনের আইনকে কাজে লাগাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণের পর স্কুলশিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভই ছিল সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি।

‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। থাইল্যান্ডে চলমান বিক্ষোভের জের ধরে আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে দুই স্কুলশিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার অপসারণ, রাজতন্ত্রের প্রভাব কমানো ও সংবিধান সংশোধনের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রধানমন্ত্রী প্রাউতের নিষেধাজ্ঞার পরও হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। অভিযুক্ত দুজন শিক্ষার্থী জানায়, জরুরি আদেশ অমান্য করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার কারণেই তাদের তলব করে পুলিশ

থাইল্যান্ডে সরকার পতন ও রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্বের দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চলছে

শিক্ষার্থীদের একজন ১৫ বছর বয়সী বেনজামা পোরন নিভাস রয়টার্সকে জানায়, আন্দোলনের নেতাদের গ্রেপ্তার করতে থাকলে জেলেও জায়গার সংকুলান হবে না। কারণ, গ্রেপ্তার করার সঙ্গে সঙ্গে আরও হাজারো তরুণ জেগে উঠবে।

শনিবার বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করেছে। সেদিনও সে আন্দোলনে উপস্থিত থাকবে বলে জানায় নিভাস। অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থীর নাম লোপানাপাত ওয়াংপাইসিত (১৭)।

পুলিশের একজন মুখপাত্র ইয়িংয়োস থেপজুমনং জানান, মামলার অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য ওই দুই শিক্ষার্থীকে তলব করা হয়েছে। আইনজীবী ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত জুলাইয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে ব্যাপক ধরপাকড়ের পরও আন্দোলন চলছে।

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ব্যাংককে স্কুলশিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানাতে তিন আঙুল দেখাচ্ছেন এই ব্যক্তি

শনিবার স্কুলশিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থায় অধিকতর স্বাধীনতা ও ন্যায্য আচরণও চাওয়া হয়েছে। অনেকে আবার লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিতে বলেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক পরা এক শিক্ষার্থীর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি শিক্ষকদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছি। স্কুল এখানে নিরাপদ জায়গা নয়।’ শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থার প্রতিবাদস্বরূপ ওই শিক্ষার্থী তার মুখ টেপ দিয়ে বেঁধেও রেখেছিল।

শনিবার ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ যেসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে, তার একটি ছিল ‘বাই বাই ডাইনোসরস’। আর এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

থাই সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা আইনের ভেতর থেকে গঠনমূলকভাবে তাঁদের স্বাধীনতার চর্চা করবেন বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সাবেক জেনারেল প্রাউত চান-ওচা। সর্বশেষ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন না ঘোষণা বলে দেন তিনি।