Thank you for trying Sticky AMP!!

ভবিষ্যতে একক, নাকি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে: রাবি উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু হয়েছে। অভিভাবকের কাছে দোয়া নিচ্ছেন শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ‘রাজশাহী ছোট শহর। এখানে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি পোহাতে হয়। এবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি অভিপ্রায় করেছেন, “একক” পদ্ধতিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। “একক” পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হলে তখন সেটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের আইন অনুযায়ী চলে। ভর্তিবিষয়ক যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র একাডেমিক কাউন্সিলের। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। যদি একক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন করা না হয়, অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নিতে। এটা আমরা এখন থেকেই চিন্তাভাবনা করছি।’

বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। তবে এবার সেটি  আমরা ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছি
গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপাচার্য,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

এর আগে আজ সকাল ৯টায় সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) প্রথম শিফটের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ১টা থেকে ২টা এবং বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সি ইউনিটে কোটাসহ ৭৫ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে সি ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫৩৩টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ২৬টি ভবনে এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টার একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি ৪টি ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে।

Also Read: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু

ভর্তি জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বা অসদুপায় ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশাপাশি চার স্তরের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। অন্তত ১০০ জন পুলিশ সাদাপোশাকে কাজ করছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা করতে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, হেল্পডেস্ক ও মেডিকেল টিম কাজ করছে। পোষ্য কোটার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। তবে এবার সেটি  আমরা ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছি।’

সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক  হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ প্রমুখ।

Also Read: তুরস্কে বিনা খরচে ইন্টার্নশিপের সুযোগ

কাল মঙ্গলবার (৩০ মে) এ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বুধবার (৩১ মে) বি ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা) পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ১টা থেকে ২টা এবং বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চার পালায় অনুষ্ঠিত হবে।