Thank you for trying Sticky AMP!!

ফাইভ-জি পরীক্ষামূলক চালু রোববার থেকে

দেশে রোববার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা ফাইভ-জি। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক কয়েকটি জায়গায় এই সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করবে। ঢাকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এলাকা, জাতীয় সংসদ ভবনের কাছে, সচিবালয় এলাকা ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আজ ফাইভ-জি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। আর ঢাকার বাইরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় ফাইভ-জি চালু করবে টেলিটক।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, টেলিটকের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে অন্তত ২০০টি টাওয়ার বা বিটিএসে (বেইস ট্রান্সসিভার স্টেশন) ফাইভ-জি চালু করা। এ জন্য একটি প্রকল্প সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা থ্রি-জি চালু হয়। এরপর ফোর-জি চালু হয় ২০১৮ সালে। যদিও দেশের বেশির ভাগ মুঠোফোন গ্রাহক এখনো টু-জি প্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির ১৩তম সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, দেশে মোট গ্রাহকের ৩৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এই হার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।

ফোর-জির গতিও বাংলাদেশেই কম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিধিমালা অনুযায়ী, ফোর-জিতে গতি হতে হবে ৭ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড)। যদিও দেশের কোনো অপারেটরই এই গতিতে সেবা দেয় না।

টেলিটক জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক সেবায় গ্রাহক পর্যায়ে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি পাবেন গ্রাহক। যদিও গ্রাহক সংশ্লিষ্ট এলাকায় গেলেই ফাইভ-জি ব্যবহার করতে পারবেন না। এ জন্য ফাইভ-জি উপযোগী মুঠোফোন সেট ও নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার জন্য পাসওয়ার্ড থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে এই পাসওয়ার্ড দিচ্ছে টেলিটক। প্রতিষ্ঠানটি ফাইভ-জি চালুর প্রযুক্তি নিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছ থেকে।

ফাইভ-জি উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এর আগে শনিবার সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভ-জি উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণটি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।