Thank you for trying Sticky AMP!!

চলে গেলেন বাসবী নন্দী

বাসবী নন্দী

চলে গেলেন ভারতের বাংলা ছবি আর মঞ্চের বরেণ্য অভিনেত্রী বাসবী নন্দী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গতকাল রোববার রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ সোমবার অনেকেই ছুটে যান কলকাতায় তাঁর বাসভবনে।

বাসবী নন্দী চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ (১৯৫৮) ছবিতে। ‘বনপলাশীর পদাবলী’ (১৯৭৩) ছবিতে উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে থাকবে অনেক দিন। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৪ সালে তিনি বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন থেকে বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাকট্রেসের পুরস্কার পান। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘মৃতের মর্ত্যে আগমন’, ‘বাঘিনী’, ‘সেই চোখ’, ‘রাতের কুহেলি’, ‘গজমুক্তা’, ‘আমি সে ও সখা’৷ তিনি অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবি ‘দো দিলোঁ কি দস্তান’ (১৯৬৬)-এ। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন প্রদীপ কুমার, বৈজয়ন্তীমালা, রেহমান, শশীকলা, নাসির হোসেন প্রমুখ।

গত শতকের ষাটের দশকে যাঁরা রঙ্গমঞ্চ থেকে সিনেমায় এসেছিলেন, বাসবী নন্দী ছিলেন তাঁদের অন্যতম। থিয়েটারে অভিনয়ের পাশাপাশি বাসবী নন্দী গানও গেয়েছেন। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আর উৎপলা সেনের কাছে তিনি বাংলা গানের তালিম নেন৷ তিনি ছিলেন গোবিন্দন কুট্টির ছাত্রী৷

কলকাতার সব কটি মঞ্চেই অভিনয় করেন বাসবী নন্দী। স্টার থিয়েটারে ‘কারাগার’ (১৯৬২), রঙমহলে ‘সেইম-সাইড’ (১৯৬৮/৬৯), বিজন থিয়েটারে ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’ (১৯৮০) তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক।

বাসবী নন্দীর জন্ম ১৯৩৯ সালে। কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন৷ ছোটবেলা থেকেই গান ও ধ্রুপদী নৃত্যে ছিল তাঁর আগ্রহ৷