Thank you for trying Sticky AMP!!

নিজেকে আনন্দ, ফুর্তির ভেতর রাখছি: পরীমনি

পরীমনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ঈদের দিন সন্ধ্যাবেলা। পরীমনিকে ফোন করা হলো। বড় পর্দার এই পরি ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসল হইহুল্লোড়, আর জোরে জোরে গানের শব্দ। ফোন ধরেই গান থামিয়ে দিয়েই অভিযোগ পরীমনির, ‘দিলেন তো মুড অফ করে। গান শুনছিলাম। বন্ধুবান্ধব মিলে আনন্দ করছিলাম। আপনার ফোনে সব বন্ধ করা লাগল। যা বলার তাড়াতাড়ি বলেন, সবাই অপেক্ষা করছে।’

ঠিক করে রাখা প্রশ্ন সব ভুলে জানতে চাইলাম, কী হচ্ছে ওখানে? ঢাকাই ছবির এই নায়িকা বলেন, ‘কী আর হবে, আজ ঈদের দিন বন্ধুরা মিলে খাচ্ছি–দাচ্ছি আর আনন্দ করছি। চলবে রাতভর।’ পরীমনি জানালেন, ঈদের দিন নিয়ম ভেঙে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছেন। নিজ হাতে সারাবেলা রান্না করেছেন। আরও বললেন, ‘চিনি দিয়ে মিষ্টি মিষ্টি করে উট আর হরিণ ছাড়া সব ধরনের হালাল মাংস রান্না করেছি। হা হা হা...। এরপর দুই ধরনের সেমাই আর পায়েস করেছি।’

প্রতি ঈদে বড় বড় অঙ্কের সালামি পান পরীমনি। সেই সব সালামি ফেসবুকে শেয়ারও করেছেন বিগত বছরগুলোতে। এই ঈদে সালামির খবর কী? জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‘করোনার কারণে এবার তো ঘর থেকে বেরই হইনি। অনেকেই সালামি দেওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছেন। হা হা হা...। অবশ্য আমাকেও তেমন একটা সালামি দিতে হয়নি।’

পরীমনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সহশিল্পী কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে? পরীমনি জানালেন সবাই নাকি হতাশ। এ জন্য কারও সঙ্গে কথা বলেননি জানিয়ে বললেন, ‘এই দুর্যোগের মধ্যে একটু ভালো থাকার জন্য কথা বলতে গেলে উল্টো তাঁরাই হতাশার বাণী শোনায়। খুব বিরক্ত লাগে। এ জন্য ঈদের দিন কোনো সহশিল্পীকে ফোন দিইনি। আরে ভাই, সারা পৃথিবীর অবস্থা তো একই। হতাশ হওয়ার তো কিছু নাই, ভেঙে পড়ার তো কিছু নাই। নিজেকে আনন্দ, ফুর্তির ভেতর রাখতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করি। কারণ, একদিন ঝড় থামবেই।’