বলিউড

প্রিয়াঙ্কার অজানা আট

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
27

প্রথমে বিশ্বসুন্দরী এরপর বলিউড তারকা। এরই মধ্যে পার করেছেন চলচ্চিত্রে অভিনয়জীবনের এক যুগ। এই সময়ে তাঁর সবকিছুর মধ্যে বারবার ফিরে এসেছে বৈচিত্র্য। ফ্যাশন, কামিনে, সাত খুন মাফ কিংবা বরফির মতো ছবিগুলো বলে দেয়, এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে ভার্সেটাইল অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কখনো গ্ল্যামারাস কুইন, কখনো সিরিয়াল কিলার কিংবা কখনো বরফি ছবির ঝাঁকড়া চুলের সেই অটিস্টিক ঝিলমিলকে তাই এবার দেখা গেল লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী দৃঢ়প্রত্যয়ী ভারতীয় মুষ্টিযোদ্ধা মেরি কমের ভূমিকায়। সঞ্জয় লীলা বানসালি প্রযোজিত এবং ওমাঙ্গ কুমার পরিচালিত মেরি কমের জীবনী নিয়ে তেরি মেরি কম ছবিতে অভিনয় করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানিয়েছেন, এটিই তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন চরিত্র। সেলুলয়েডের জন্য এমনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করা প্রিয়াঙ্কার কিছু অজানা তথ্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছে ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ক্রিমিন্যাল সাইকোলজিস্ট হওয়ার। বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ছোটবেলা কেটেছে বিভিন্ন শহরে। ১৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে প্রিয়াঙ্কা খালার সঙ্গে কাটিয়েছেন বছরের পর বছর। যখন তিনি বোস্টন স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন, তখন সেখানে বর্ণবাদের মতো নির্মম ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় প্রিয়াঙ্কাকে।
২. অনেকটা মায়ের ইচ্ছেতেই ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০০০’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান প্রিয়াঙ্কা। অবশেষে জয়ী হয়ে ফেরেন তিনি।
৩. ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় প্রিয়াঙ্কাকে উপস্থাপিকা জেরি স্পিরঞ্জার প্রশ্ন করেছিলেন, এমন একজন জীবিত মহিলার নাম বলুন, যিনি আপনার চোখে পৃথিবীর সেরা নারী? প্রিয়াঙ্কা হাসিমাখা মুখে উত্তর দিয়েছিলেন ‘মাদার তেরেসা’। মাদার তেরেসা ওই সময়ের আরও তিন বছর আগেই মারা যান। তবে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুটটি তাঁর কপালেই ছিল।
৪. ২০০২ সালে আব্বাস-মাস্তানের হামরাজ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেকের কথা থাকলেও শেষমেশ তা আর সম্ভব হয়নি। ওই বছরে তামিল ছবি থামিজান দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হয় এই অভিনেত্রীর। বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি দ্য হিরো-লাভ স্টোরি অব আ স্পাই।
৫. ক্যারিয়ারের শুরুতেই ২০০৪ সালে এইতরাজ ছবিতে তিনি প্রথম নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি তাঁকে এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ারসহ কয়েকটি পুরস্কার।
৬. হোয়াটস ইয়োর রাশি (২০০৯) ছবিতে ১২ রাশির ১২ কন্যার চরিত্রে অভিনয় করে গিনেস বুকে নাম লেখানোর সুযোগ হয় প্রিয়াঙ্কার। ২০১১ সালের সাত খুন মাফ ছবিতেও সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা যায় তাঁকে।
৭. বাবা অশোক চোপড়া গান করতেন। প্রিয়াঙ্কা নিজেও পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয়সংগীতে দীক্ষা নিয়েছেন। ২০১২ সালে ‘ইন মাই সিটি’ এবং ‘এক্সোটিক’, এরপর এ বছর প্রকাশিত হয়েছে প্রিয়াঙ্কার তৃতীয় একক গান ‘আই কান্ট মেক ইউ লাভ মি’।
৮. বলিউডে প্রিয়াঙ্কা ‘পিগি চপস’ নামেই পরিচিত। ব্লাফমাস্টার ছবিতে কাজ করার সময় তাঁর এই নামটি রাখেন অভিষেক বচ্চন। তবে পরিবার এবং কাছের মানুষের কাছে তিনি ‘মিমি’ নামেই পরিচিত।
সাজিদুল হক
টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ফিল্মি বিটস অবলম্বনে