অনেকে সবিস্ময়ে বলতেই পারেন, ভালোবাসার আবার দিবস! ভালোবাসা তো ভালোবাসাই। কখন, কীভাবে যে এ ভালোবাসা মন ছুঁয়ে যাবে, তা কে বলতে পারে।হাজার দেখায় যে হূদয় কথা বলে না, তা একপলকের নিঃশব্দ চাহনিতে সে ঘায়েল হয়ে যেতেই পারে, যায়ও তাই। পৃথিবীর তাবৎ মানুষই ভালোবাসার এই বিষম গতিকে জানে। তসত্ত্বেও ভালোবাসার জন্য একটি দিনক্ষণ হয়েছে ঠিককরা। আর এই দিনটি হচ্ছে আজ, ১৪ফেব্রুয়ারি। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস—ভ্যালেন্টাইন ডে। ইতিহাসের পাতায় সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে।আজ হূদয়গহনে তারাপুঞ্জের মতো ফুটবে কবিগুরুর বাণী ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি/ এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি...।’ তবে আঙুল কেটে রক্তে রক্তে মিলিয়ে দেওয়া, চিঠির ভাঁজে গোলাপের পাপড়ি গুঁজে দেওয়া, চণ্ডীদাস অথবা দেবদাসের মতো চরিত্র হয়ে ওঠার ভাবধারা আজকের যুগে একেবারে অচল। চালু রেওয়া হলো মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে হূদয়ের উষ্ণতা মাখা বর্তারাশির চালাচালি। রাজধানীর উদ্যানগুালো, বইমেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফি শপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ অথবা নির্জন গৃহকোণে আজ প্রিয়জনের সান্নিধ্যে কাটবে অনেকের দিন। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কেবল তরুণ-তরুণীর প্রেমের সীমিত নয়। এদিন পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালোবাসা, ভাই-বোনের ভালোবাসা, শিক্ষক-ছাত্রের ভালোবাসাসহ সর্বপরী দেশের প্রতি ভালোবাসা বৃহত্তর মাত্রায় দিবসটি তাৎর্যকে সম্প্রসারিত করে ।আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে উৎসব আয়োজন থাকবে।