Thank you for trying Sticky AMP!!

সিএনসি অ্যাওয়ার্ড মাহাদীর হাতে

লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোর্সের বিভিন্ন বিভাগে জয়ী নির্মাতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মাহাদী (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)

লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোর্স হাবে ‘সিএনসি অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্রকার মাহাদী হাসান। তাঁর চলচ্চিত্র প্রকল্প ‘স্যান্ড সিটি’ এই পুরস্কার জিতে নেয়। এটির প্রযোজক রুবাইয়াত হোসেন। লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে খবরটি।

ওপেন ডোর্স হাব লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতা করে থাকে। এ বছর ওপেন ডোর্স হাবে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয় ‘স্যান্ড সিটি’। এরপর পুরস্কারও জিতে নেয় প্রকল্পটি। পুরস্কারের সঙ্গে নির্মাতা মাহাদী হাসান পাচ্ছেন আট হাজার ইউরো। একই সঙ্গে স্যান্ড সিটির চূড়ান্ত পর্যায়ের চিত্রনাট্য শেষ করার জন্য সুইজারল্যান্ডে দুই মাসের জন্য অবস্থানেরও সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এই পুরস্কারের আর্থিক সহযোগিতা দেবে ফরাসি জাতীয় চলচ্চিত্র ও অ্যানিমেশন কেন্দ্র।

লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোর্স বিভাগে তিনটি কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ওপেন ডোর্স হাবে অংশ নেয় নির্মাতাদের পরবর্তী ছবির চিত্রনাট্য। ওপেন ডোর্স ল্যাবে কর্মশালায় অংশ নেন প্রযোজকেরা। আর ওপেন ডোর্স স্ক্রিনিংয়ে প্রদর্শিত হয় নির্মাতাদের তৈরি ছবি। এবার ওপেন ডোর্স হাবে নির্বাচিত হয়েছে মাহাদী হাসানের স্যান্ড সিটি ছবির চিত্রনাট্য। আর ওপেন ডোর্স ল্যাবে অংশ নিয়েছেন প্রযোজক আরিফুর রহমান। ওপেন ডোর্স স্ক্রিনিংয়ে দেখানো হয়েছে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের লাইভ ফ্রম ঢাকা। এ ছাড়া আছে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি মাহাদী হাসানের ডেথ অব আ রিডার ও অং রাখাইনের দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস।

ওপেন ডোর্স কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। যেসব দেশে বাণিজ্যিক ধারার বাইরে বিকল্পধারায় ছবি নির্মাণের পরিবেশ নেই, সেসব দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজকদের কাজ এতে স্থান করে নেয়। কার্যক্রমটি শুরু হয় কিউবা থেকে। এরপর একে একে লাতিন আমেরিকা, ভারত, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর নির্মাতাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। ২০১৬-১৮ সাল ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। সে হিসেবে এই তিন বছর উৎসবটি বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর আগে ওপেন ডোর্স হাবে কামার আহমাদ সাইমন ও রুবাইয়াত হোসেনও পুরস্কার জিতেছিলেন।

২০১৯-২১ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার নির্মাতাদের জন্য। এই সময়ে লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও মঙ্গোলিয়ার নির্মাতারা অংশ নেবেন। লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব বিশ্বের নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি। ১ আগস্ট শুরু হওয়া উৎসবটি শেষ হবে ১১ আগস্ট।