‘মাইরের মধ্যে ভাইটামিন আছে’, ‘তুই রাজাকার’ কিংবা ‘ছি ছি ছি, তুমি এত খারাপ!’ এ সংলাপগুলো কি ভুলতে পারেন? সে ভোলা কি যায়? আসুন, হলিউডেরও এমন কয়েকটি সংলাপ জেনে নিই—

বন্ড, জেমস বন্ড
এটা সেই সংলাপ, যেটার বিবরণ লেখার সত্যিই কোনো প্রয়োজন নেই। ১৯৬২ সালে প্রথম জেমস বন্ড শন কনারি ড. নোতে ব্যবহার করেছিলেন। এক নৈশক্লাবে সিলভিয়া ট্রেঞ্চের কাছে নিজের পরিচয় এভাবেই দিয়েছিলেন বন্ড-রূপী কনোরি। এরপর সংলাপটি অমর হয়ে যায়। টিমোথি ডালটন, পিয়ার্স ব্রসন্যান, হালের ড্যানিয়েল ক্রেগ উত্তরাধিকারসূত্রে এই সংলাপটি ব্যবহার করে চলেছেন।
রান ফরেস্ট, রান
ফরেস্ট গাম্প-এর ফরেস্ট (টম হ্যাংকস) তখন ছোট। পা চলে না। ধাতব কাঠি পরিয়ে রাখতে হয়, তাতেই ভর করে সে হাঁটে। বয়সের তুলনায় অপরিণত বুদ্ধি আর শারীরিক প্রতিবন্ধী ফরেস্টের পিছু লেগে থাকে ইঁচড়ে পাকা কিছু ছেলে। একদিন গাড়িতে করে তারা পিছু ধাওয়া করে ফরেস্টের। ফরেস্টের বন্ধু জেনি চিৎকার করে বলে ওঠে, রান ফরেস্ট,
রান!
Supercalifragilisticexpialidocious!
ইংরেজি ভাষার অন্যতম দীর্ঘ শব্দ তো বটেই। কয়টা বর্ণ আছে জানেন? কষ্ট করার দরকার নেই। ৩৪! বলতে পারেন, এমন বদখত শব্দ ইংরেজিতে আছে তার নিশ্চয়তা কী? জেনে রাখুন, শব্দটা অক্সফোর্ড অভিধানেও আছে। থাকতেই হবে, এটাও যে জনপ্রিয় সংলাপগুলোর একটি। ১৯৬৪ সালে ডিজনির ম্যারি পপিনস- এর একটি গানে এটা ব্যবহার করা হয়।
এলিমেন্টারি, মাই ডিয়ার ওয়াটসন
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আর্থার কোনান ডয়েল তাঁর ৬০টি হোমস-কাহিনির একটিতেও এই সংলাপ ব্যবহার করেননি। কিন্তু তাঁর ব্যবহার করা ‘এলিমেন্টারি’ আর ‘মাই ডিয়ার ওয়াটসন’ এই দুই ভিন্ন সংলাপ জোড় বেঁধে হোমসকে নিয়ে বানানো পরের দিককার ছবিগুলোতে ব্যবহার করা হয়। সংলাপটির আসল জনক পি.জি. উডহাউস।
আ’ল বি ব্যাক
আরেকটি জনপ্রিয় সংলাপ, টারমিনেটর ছবির ভক্তরা যে সংলাপটি ভুলতে পারবেন না কোনো দিনই। ১৯৮৪ সালে জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর এই ছিবর দ্বিতীয় পর্বে সংলাপটি ব্যবহার করেছিলেন ‘সাইবর্গ’ আরনল্ড শোয়ার্জনেগার। সংলাপটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে যায়, শোয়ার্জনেগার তাঁর অন্য ছবিতেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটি ব্যবহার করেন। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি এক জরিপে এই সংলাপটিকে হলিউডের সর্বকালের সেরার রায় দিয়েছে ভক্তরা।
আই লাভ দ্য স্মেল
১৯৭৯ সালের ছবি অ্যােপাক্যালিপস নাউ ছবির সংলাপ ‘আই লাভ দ্য স্মেল অব নাপাম ইন দ্য মর্নিং’ পরে বিখ্যাত হয়ে যায়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবিটিতে রবার্ট ডুভাল এই সংলাপটি দিয়েছিলেন।
গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম
সদ্য প্রয়াত রবিন উইলিয়ামসের অন্যতম আলোচিত ছবি গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম। এই ছবিতে রেডিও উপস্থাপক অ্যাড্রিয়ান তাঁর শ্রোতাদের এভাবেই আমন্ত্রণ জানাতেন, ‘গুউউউউড মর্নিং, ভিয়েতনাম!’
হু ইউ গনা কল?
১৯৮৪ সালের ছবি গোস্টবাস্টারস-এর ভাব সংগীতটির এই লাইন দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। সংগীত তারকা রে পার্কার জুনিয়র পরে ‘গোস্টবাস্টারস’ শিরোনামে গান বাঁধেন। গানটিতে ‘হু ইউ গনা কল? গোস্টবাস্টারস!’ এই লাইনটি ব্যবহার করেন।
ইউ টকিং টু মি?
১৯৭৬ সালে সেই কাল্ট ছবি ট্যাক্সি ড্রাইভার- এ রবার্ট ডি নিরো সংলাপটি ব্যবহার করেন। পিস্তলটা বাঁই বাঁই করে আঙুলে কয়েক পাক ঘুরিয়ে, শার্টের নিচের হোলস্টারে ঢুকিয়ে আয়নার সামনে এই সংলাপটি দেন নিরো।
হেয়ার ইজ জনি!
১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া দ্য শাইনিং ছবিতে জ্যাক নিকলসন এই সংলাপ ব্যবহার করেন। খুনের নেশায় মত্ত জ্যাক কুড়াল দিয়ে দরজার পাল্লা কেটে ভেঙে মাথা গলিয়ে দিয়ে উচ্চারণ করেন বিখ্যাত এই সংলাপ।
রাজীব হাসান, টিএনএন অবলম্বনে