অভিষেকের জন্য কী রাঁধলেন ঐশ্বরিয়া?

অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

যদি মনে করেন নায়িকারা রান্না করেন না, তাহলে সেই ভুল ধারণা এখনই ভেঙে ফেলুন। কারণ নায়িকাদেরও মাঝে মাঝে হেঁশেল ঠেলতে হয়। সাধারণ মানুষের মতো তাঁদেরও তো খাবার খেতে হয়। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও স্বামী অভিষেক বচ্চনের জন্য রান্না করেন। কিন্তু অভিষেকের পছন্দের নয়, অপছন্দের খাবার পরিবেশন করেছেন তিনি!

শাকসবজি অভিষেক বচ্চনের দুই চোখের বিষ। আর ব্রোকলি তো তাঁর মুখে একেবারেই রোচে না। নিষ্পাপ এই সবজি সম্পর্কে তাই ইচ্ছামতো বিষোদ্গার করেন অভিষেক। গতকাল সোমবার জুনিয়র বচ্চন টুইটারে এক পোস্টে ব্রোকলি নিয়ে তাঁর মত প্রকাশ করেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কেন? মানুষ কী কারণে ব্রোকলিকে খাদ্য বানাল? কেন রে ভাই? আমি জানতে চাই এই সবজি কি আদৌ কেউ খেতে পছন্দ করেন?’

কিন্তু অভিষেকের কপাল খারাপ। এই পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নায়ক আরেকটি পোস্ট দেন। এবার এক প্লেট খাবারের ছবি প্রকাশ করেন তিনি। ভাবুন, প্লেটে অভিষেকের জন্য পরিবেশন করা খাবারটি ব্রোকলি দিয়েই তৈরি। আর সেই ছবির ক্যাপশনে অভিষেক লিখেছেন, ‘যা হওয়ার তা-ই হলো। আমার ধারণা, স্ত্রী আমার আগের পোস্টটি দেখে ফেলেছে।’

অভিষেকের এই সরস পোস্টে অনেকেই বেশ মজা পেয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনি না খেলে আমাকে পাঠিয়ে দিন। ঐশ্বরিয়ার রান্না চেখে দেখতে চাই।’ কেউ কেউ আবার ঠাট্টা করে বলছেন, ঐশ্বরিয়াও দেখি গতানুগতিক স্ত্রীদের মতো। স্বামীর যা পছন্দ নয়, তাঁকে তা-ই খেতে বাধ্য করেন।

অভিষেক বচ্চনকে এ খাবারটি খেতে দেননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

অভিষেক বচ্চন ২০০৩ সালে ‘কুচ না কহো’ ছবিতে কাজ করার সময় সহশিল্পী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমে পড়েন। কিন্তু প্রেমের কথা প্রকাশ না করে মনেই পুষে রাখেন জুনিয়র বচ্চন। এরপর ২০০৭ সালে ‘গুরু’ ছবিতে আবার তাঁরা জুটি হন। নিউইয়র্কে সেই সিনেমার শুটিং করার সময় এক রাতে হোটেলের বারান্দার দাঁড়িয়ে অভিষেক ভাবছিলেন, ‘ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে যদি ঘর বাঁধতে পারতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো।’ এরপর অবশ্য বেশি দিন মনের কথা গোপন রাখতে হয়নি অভিষেককে। নিউইয়র্কে ‘গুরু’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর সময় সেই হোটেলের বারান্দাতেই ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে যান অভিষেক এবং সেখানেই তিনি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। একই বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা। তাঁদের সংসারে একমাত্র সন্তান আরাধ্য বচ্চন। তার বয়স এখন সাড়ে ছয় বছর।

অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া মেয়েকে নিয়ে মুম্বাইয়ের জুহু এলাকায় মা-বাবার সঙ্গেই থাকেন। অমিতাভ বচ্চনের সেই বাড়ির নাম ‘জলসা’। তবে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া ২০১৫ সালে নিজেদের একটি ফ্ল্যাট কেনেন। ফ্ল্যাটের দাম ২১ কোটি রুপি। তার আয়তন সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুট। এখন তাঁরা এর অন্দর সজ্জার কাজ করাচ্ছেন। এ বছরের শুরুর দিকে শাহরুখ খানের স্ত্রী ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গৌরী খানের নতুন অফিস থেকেও তাঁরা ঘুরে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গৌরীকেই তাঁরা নতুন ফ্ল্যাট সাজানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। মজার বিষয় হলো, এখানে তাঁরা প্রতিবেশী হিসেবে পেয়েছেন আরেক বলিউড তারকা সোনম কাপুরকে। বান্দ্রার এই ফ্ল্যাট ছাড়াও মুম্বাইয়ের জুহুতে বচ্চনদের বড় দুটি বাংলো আছে। ‘জলসা’ ও ‘প্রতীক্ষা’ নামের বাংলো দুটি বচ্চনদের পুরোনো সম্পত্তি। এ ছাড়া তাঁরা দুবাই ও মুম্বাইয়ের ওরলি এলাকায় আরও দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস