বলিউড তারকাদের বিয়ে মানেই রাজকীয় আয়োজন। তাঁদের বিয়ে ঘিরে ভক্তদের উৎসাহ, উদ্দীপনা থাকে তুঙ্গে। নিজেদের বিয়ের পেছনে তাঁরা মুড়িমুড়কির মতো টাকা ওড়ান। বিয়ের পাশাপাশি তাঁদের বিচ্ছেদের খবরও চর্চায় উঠে আসে। বিচ্ছেদের জন্যও তাঁরা পানির মতো টাকা খরচ করেন। বলিউডের ১০টি সবচেয়ে চর্চিত এবং দামি ডিভোর্স দেখে নেওয়া যাক একনজরে
সুজান খান ও হৃতিক রোশন
বলিউডের নামকরা পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র হৃতিক রোশন। ২০০০ সালের তুমুল হিট সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে বলিউডের বড় পর্দায় খাতা খোলেন হৃতিক রোশন। সুজান খান আর হৃতিক ভালো বন্ধু ছিলেন। তাঁদের এই বন্ধুত্বের প্রেম থেকে পরিণয়ে শেষ হয়। সিনেমা হিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২০০০ সালে সুজান আর হৃতিক বিয়ে করে ফেলেন। দীর্ঘ ১৪ বছর সংসারের পর ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। হৃতিক আর সুজানের ডিভোর্স শুধু দেশ নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিভোর্সের তালিকার শীর্ষে আছে। জানা গেছে, সুজান খোরপোশের জন্য ৪০০ কোটি রুপি দাবি করেছিলেন। আর তাঁকে ৩৮০ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছিল। বিচ্ছেদের পরও ভালো বন্ধু হৃতিক ও সুজান। দুজনে ভাগাভাগি করে দুই সন্তানকে বড় করছেন। ছেলেদের নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরতেও যান দুজনে।
কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর
২০১৬ সালে কারিশমা ও সঞ্জয়ের ১১ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের সময় কারিশমা আর সঞ্জয়ের মধ্যে ১৪ কোটি রুপির এক চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসায়ী সঞ্জয় প্রতি মাসে কারিশমাকে ১০ লাখ রুপি দেন। এই অর্থ কারিশমা তাঁর দুই সন্তানের জন্য খরচ করেন।
ফারহান আখতার ও অধুনা ভবানী
অধুনা আর ফারহানের ডিভোর্সের খবরে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, বিচ্ছেদের আগে ফারহান বা অধুনার নতুন কোনো প্রেমের খবর শোনা যায়নি। বিয়ের ১৬ বছর পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। ডিভোর্সের পর অধুনা মুম্বাইয়ের বাংলো নিজের অধীন রাখার দাবি করেছিলেন। বাড়ি ছাড়াও ফারহান তাঁর মেয়ের জন্য মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা দেন।
সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিং
অমৃতা-সাইফের বিয়ের মতো তাঁদের বিচ্ছেদও ব্যাপক সাড়া ফেলে। বয়সে ১৩ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে সাইফ সংসার করেছেন ১৩ বছর। তারপর আলাদা হয়ে যান
পায়েল খান্না ও আদিত্য চোপড়া
বলিউড তারকা রানী মুখার্জি বলিউডের নামজাদা চিত্রনির্মাতা ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। আদিত্যর প্রথম স্ত্রী ছিলেন পায়েল খান্না। পায়েলের সঙ্গে ডিভোর্সের পর আদিত্য তাঁকে ৫০ কোটি রুপি দিয়েছিলেন। আদিত্য-পায়েলের ডিভোর্স ভারতের সবচেয়ে দামি ডিভোর্সগুলোর একটি।
প্রভুদেবা ও রামলতা
২০১১ সালে রামলতা আর প্রভুদেবার বিচ্ছেদ হয়। প্রভুদেবা ২৫ কোটি রুপির সম্পত্তি দিয়েছিলেন স্ত্রী রামলতাকে।
মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খান
মালাইকা-আরবাজের ডিভোর্সের খবর রীতিমতো ঝড় তুলেছিল বলিউডপাড়ায়। বিচ্ছেদের পর আরবাজ মালাইকাকে কত রুপি দিয়েছিলেন, তা জানা যায়নি। তবে মালাইকা আরবাজের কাছ থেকে ১৫ কোটি রুপি দাবি করেছিলেন।
সঞ্জয় দত্ত ও রিয়া পিল্লাই
রিয়া পিল্লাই সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। রিয়াকে তিনি খুব ভালবাসতেন। বিচ্ছেদের পর অনেক দিন পর পর্যন্ত সঞ্জয় রিয়ার সমস্ত খরচ বহন করতেন। তবে খোরপোষের জন্য সঞ্জয় তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে কত রুপি দিয়েছেন তা নিয়ে কখনো কেউ কিছু বলেননি। তবে সঞ্জয় ৫ কোটি রুপি এবং একটি দামি গাড়ি দিয়েছিলেন রিয়াকে।
আমির খান ও রীনা দত্ত
পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে আমির ১৯৮৬ সালে রীনাকে বিয়ে করেছিলেন। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জানা গেছে, আমির রীনাকে খোরপোষ বাবদ এককালীন ৫০ কোটি রুপি দিয়েছিলেন।