Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকারি কর্মকর্তা হতে চেয়েছিলেন রাশি

রাশি খান্না

ভারতীয় সিনেমায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে রাশি খান্নার নাম। ২০১৩ সালে মাদ্রাজ ক্যাফে ছবিতে ছোট্ট একটা চরিত্র দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে সেই রাশির হাতে একটি নয়, দুটি নয়, সাতটি সিনেমা! আর প্রতিটি সিনেমার মুখ্য চরিত্রে তিনি। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও কাজ বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ মুহূর্তে চলছে পাক্কা কমার্শিয়াল ছবির শুটিং।
‘বেঙ্গল টাইগার’ (২০১৫), ‘সুপ্রিম’ (২০১৬), ‘জয় লাভা কুসা’ (২০১৭), ‘থলি প্রেমা’ (২০১৮), ‘ভেঙ্কি মামা’ (২০১৯) তারপর ‘প্রাথি রজু প্যান্ডেজ’ (২০১৯) ছবিতে অভনিয় করেন রাশি।

রাশি খান্না

২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর অন্তত একটি সুপারহিট সিনেমা উপহার দেওয়া রাশিকে একনামে সবাই চিনে ফেলল ‘প্রাথি রজু প্যান্ডেজ’ সিনেমা মুক্তির পর। এই ছবির পরিচালক মারুথি দাসারির পরের ছবিই ‘পাক্কা কমার্শিয়াল’। এই ছবিতে পরিচালক রাশির চরিত্রটি রাশিকে ভেবেই লিখেছেন। ছবির পোস্টারে ৩০ বছর বয়সী রাশিকে দেখা যাবে একজন আইনজীবীর চরিত্রে। যদিও কোনো দিন অভিনেত্রী কিংবা আইনজীবী কোনোটাই হতে চাননি রাশি। তিনি চেয়েছিলেন আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) অফিসার হতে।

রাশি খান্না

ভালো ছাত্রীও ছিলেন। দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা শেষ করে কপিরাইটার হিসেবে যোগ দিলেন একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। তারপর কী দিয়ে যে কী হয়ে গেল! রাশির ভাষায়, অভিনেত্রী হওয়া তাঁর কপালের লিখন।
‘পাক্কা কমার্শিয়াল’ ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে টুঁ শব্দটিও করতে রাজি নন রাশি। ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘“প্রাথি রজু প্যান্ডেজ”-এ আমি ছিলাম এঞ্জেল অর্না নামে টিকটকে আসক্ত এক তরুণী। সে রকম একটা চরিত্র যে এভাবে দর্শকের বিপুল ভালোবাসা পাবে, তা আমি কখনোই ভাবিনি। তাই আমি এখন মারুথি স্যারকে (পরিচালক) চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি। তিনি যখন চিত্রনাট্য নিয়ে এলেন, আমি সেটা পড়েছি আর হেসেছি। এত মজার চিত্রনাট্য! শুটিংয়েও হাসি আটকে রাখতে পারছি না। শুধু বলব আমার চরিত্রটা খুবই মজার। আমার মতো গোমড়ামুখো মানুষ যদি হাসি আটকাতে না পারে, দর্শক হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবে।’