Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এখন গভীর সংকটে

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।

প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এখন গভীর সংকটে। তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। চেতনাহীন সৌমিত্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। গত শনিবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ধীরে ধীরে চেতনাহীন হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসকেরা ভাবছেন, এবার হয়তো তাঁকে ভেন্টিলেশনে নিতে হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন এই প্রবীণ অভিনেতার জন্য নিবেদিত ১৬ সদস্যের চিকিৎসক দলের প্রধান ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম কর গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে জানান, শনিবার রাত থেকেই সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাঁর আচ্ছন্নতা কাটেনি, চেতনা নেই বললেই চলে।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।

সৌমিত্রের শরীরে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের তারতম্য ঘটছে। প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপের সাপোর্ট। চিন্তাভাবনা চলছে, ভেন্টিলেশন দেওয়ার।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

চিকিৎসক অরিন্দম কর আরও বলেছেন, সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তাঁর শরীরে পারিপার্শ্বিক সংক্রমণের আভাস মিলছে, বাড়ছে ইউরিয়া। মস্তিষ্কে কোভিড ও এনকেফ্যালোপ্যাথি রোগের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা আরও বেড়েছে। শনিবার দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীর দিন থেকেই তিনি চেতনাহীন। তাঁর মস্তিষ্কে করোনার প্রভাব বর্তমান।
চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে বেলভিউ নার্সিং হোমের একটি কেবিনে আছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এত দিন চিকিৎসায় সাড়া দিলেও ছয় দিন ধরে তাঁর আচ্ছন্নতা বেড়েছে। সৌমিত্রের চিকিৎসায় নিয়োজিত স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে কথা বলেছেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।

তাঁরা জানিয়েছেন, কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পরও সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত কোভিড এনকেফ্যালোপ্যাথি থাকতে পারে। যদিও গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর স্নায়ু–সমস্যা প্রকট হওয়ায় বেড়ে যায় তাঁর আচ্ছন্নতা।

পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

অক্টোবরের শুরু থেকে বাড়িতে থাকাকালে সৌমিত্রের শরীর ভালো যাচ্ছিল না। জ্বর এলেও করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। চিকিৎসকের পরামর্শে নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫ অক্টোবর তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ৬ অক্টোবর তাঁকে বেলভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষায় তাঁর কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপরই সৌমিত্র সুস্থ হতে থাকেন। যদিও কোভিড-১৯ ছাড়াও তাঁর শারীরিক নানা সমস্যা ছিল, সেসবের মধ্যে রয়েছে প্রোস্টেট ক্যানসার, সিওপিডি, প্রেসার, সুগার। গত মঙ্গলবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

বেলাশেষে ছবিতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়