Thank you for trying Sticky AMP!!

আজমেরী হক বাঁধন ও ওয়ামিকা গাব্বি। কোলাজ

বাঁধনে মুগ্ধ এই অভিনেত্রী

এখন তাঁর ক্যারিয়ারের খাতায় শুধুই সাফল্যের কাহিনি লেখা হচ্ছে। ‘জুবিলি’, থেকে ‘খুফিয়া’—একের পর এক সফল প্রকল্প উপহার দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ওয়ামিকা গাব্বি। আগামী দিনেও আরও অনেক সাফল্যের কাহিনি লিখতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারের শুরুতেই উঠে আসে তাঁর অভিনয়জীবনের দূরন্ত এই অধ্যায়ের কথা। এক ঝলমলে হাসি হেসে ওয়ামিকা বলেন, ‘সত্যি এতটা সাফল্য আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমার দুটি প্রকল্প পরপর মুক্তি পেয়েছিল। আর শহরজুড়ে তখন আমার এই দুই প্রকল্পের হোর্ডিং ছিল। এর যে কি অনুভূতি, আমি তা আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারব না।’

ওয়ামিকা মনে করেন ‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজ তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজের পর আমাকে অডিশন, রিডিংয়ের জন্য বেশি করে ডাকা হচ্ছে। আমাকে এখন আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

Also Read: ‘খুফিয়া’ দিয়ে আলোচিত এই অভিনেত্রীর নতুন ছবিগুলো দেখেছেন কি

এখন ওটিটির আঙিনায় প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে একঝাঁক প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী। আর তাই এখন প্রতিযোগিতা জোর কদমে। প্রতিযোগিতার প্রশ্ন উঠতে ওয়ামিকা বলেন, ‘দেখুন প্রতিযোগিতার চাপ আমি নিই না। আজ যেসব অভিনেতারা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন, আমি তাঁদের জন্য দারুণ খুশি। আর আমি মনে করি প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব আর লুক আছে, আর তাঁরা সেই অনুযায়ী কাজ পান।’

বিশাল ভরদ্বাজের মতো পরিচালকের সঙ্গে এরই মধ্যে চারটি প্রকল্প করে ফেলেছেন ওয়ামিকা। ওয়ামিকা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী মনে করি। তাঁর মতো পরিচালকের সঙ্গে একটা প্রকল্পে কাজ করার স্বপ্ন সবাই দেখেন। আর আমি তাঁর সঙ্গে চারটি প্রকল্পে কাজ করেছি। বিশাল স্যার, বিক্রম স্যার (বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানি), রঞ্জন স্যার (চান্ডেল) এসব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করে আমি অভিনেত্রী হিসেবে আরও সমৃদ্ধ হতে পেরেছি। পেশাদারত্বের ক্ষেত্রে আমি আরও ধারালো হয়েছি।’

চলতি বছরটা দারুণ কাটাচ্ছেন ওয়ামিকা গাব্বি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘খুফিয়া’ ছবিতে বাংলাদেশের দাপুটে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ওয়ামিকা। বাঁধনের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘এই ছবিতে বাঁধনের সঙ্গে আমার কোনো দৃশ্য ছিল না। তবে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা একসঙ্গে ছিলাম। তিনি ভীষণই মিষ্টি এক মেয়ে। আর তিনি মানুষ হিসেবে খুবই পরিপক্ব আর শক্তিশালী। আমি তাঁর সঙ্গ খুব উপভোগ করেছি। আর অভিনেত্রী হিসেবে বাঁধন তুখোড়। এই ছবিতে তাঁর স্বল্প উপস্থিতি ছিল। কিন্তু স্বল্প উপস্থিতিতেই তিনি দর্শকের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছেন।’

আড্ডার শেষ পর্যায় উঠে আসে ওয়ামিকার ১০ বছরের ফিল্মি ভ্রমণের কথা। অভিনয়জীবনের নিজের শুরুর দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করে এই অভিনেত্রী উদাসীনভাবে বলেন, ‘আজও আমার কাছে সবকিছু স্বপ্নের মতো। দু-তিন বছর আগেও আমি কিছুটা অনিশ্চয়তায় ভুগতাম।

আজমেরী হক বাঁধন। আশরাফুল আলম

এখন আমি অনেক বেশি হালকা বোধ করি। চণ্ডীগড় থেকে এই শহরে আসার সময় আমি আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটতাম। কিন্তু বারবার প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হওয়াতে সেই আত্মবিশ্বাস আমার ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। মনে হতো আমি আর পারব না। নিজের মনে প্রচুর ঝড়ঝাপটা চলত। কিন্তু আজ আমার জীবনে অনেক কিছুই আছে। তাই এখন কৃতজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু প্রকাশ করতে চাই না।’